এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কলকাতায় নতুন পার্কিং দুর্নীতি? দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েও টাকা তুলছে এজেন্সি, পুরসভার ভাঁড়ার শূন্য

কলকাতায় নতুন পার্কিং দুর্নীতি? দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েও টাকা তুলছে এজেন্সি, পুরসভার ভাঁড়ার শূন্য


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত সময় যাচ্ছে তত দুর্নীতির বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্প্রতি কলকাতায় এক অভিনব দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। কলকাতার রাস্তায় প্রচুর পার্কিং লট দেখতে পাওয়া যায়, যেখানে ছোটো বড়ো গাড়ি রাখা থাকে। পার্কিং লট সরকারি বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই দেখা যায়। বেসরকারি পার্কিং লটের দায়িত্ব থাকে কিছু এজেন্সির ওপর। সে ক্ষেত্রে এই এজেন্সিগুলি অতিরিক্ত ফি যেমন চায়, ঠিক তেমনই দায়িত্ব ছাড়ার পরেও পার্কিংয়ের টাকা দাবী করতে থাকে। ফলস্বরূপ ক্ষতির মাশুল গোনে কলকাতা পুরসভা।

প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই ক্ষতি ক্রমাগত হয়ে চলেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর কলকাতা পুরসভা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানা গিয়েছে। বেআইনি পার্কিং এর ক্ষেত্রে যথাযথ শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুরসভার পার্কিং বিভাগে নথিভুক্ত রয়েছে কলকাতার প্রায় 500 টি পার্কিং এরিয়া। মোটামুটি দু-তিনটি এরিয়া মিলিয়ে একটি পার্কিং লট তৈরি করা হয়। সে ক্ষেত্রে সংখ্যাটি 147। প্রত্যেকটি পার্কিং লট নির্দিষ্ট কোন বেসরকারি এজেন্সি বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে টেন্ডারের মাধ্যমে তুলে দেওয়া হয়।

লকডাউন কালে খুব স্বাভাবিকভাবেই মানুষের বাইরে যাতায়াত কমে গিয়েছিল। ফলে যে পার্কিং লট থেকে মাসে এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা আয় হতো, সেটাই জুন জুলাই মাস নাগাদ নেমে এসেছিল কুড়ি থেকে 22 লক্ষ টাকায়। এ পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যাচ্ছে পার্কিং লট থেকে আয়ের পরিমাণ কমেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পার্কিং লট থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ হামেশাই ওঠে। বর্তমানে নতুন একটি সমস্যা পুরসভার কর্তাদের নজরে পড়েছে। পুরসভা কর্তৃপক্ষের সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, প্রত্যেকটি এজেন্সি বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে 3, 6 কিংবা এক বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এজেন্সিগুলি পুরসভাকে টাকা দিতে পারছেনা। এই অজুহাতে মাঝপথেই দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছে তাঁরা। সে ক্ষেত্রে পুরসভাকে নতুন করে আবার টেন্ডার ডাকতে হচ্ছে। বেশ কয়েক মাস তাতে চলে যাচ্ছে। যথারীতি এই সময়কে কাজে লাগিয়ে কোন কোন এজেন্সি দায়িত্ব ছাড়ার পরেও ক্রমাগত পার্কিং ফি আদায় করে চলেছে। কিন্তু সরকারি খাতায় দেখা যাচ্ছে ওই পার্কিং লটের দায়িত্বে কেউ নেই। সেক্ষেত্রে বেআইনিভাবে টাকা আদায় চলছে যা যথাযোগ্য শাস্তিমূলক অপরাধ। সূত্রের খবর, যারা সদ্য দায়িত্ব ছাড়ছে সেই সব এজেন্সির কেউ কেউ পার্কিং ফি তুলে চলেছে, যার কোন অংশই পুরসভার ঘরে যাচ্ছেনা।

এ প্রসঙ্গে পার্কিং বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা দেবাশীষ কুমার জানান, পার্কিং লটের দায়িত্ব ছাড়ার সাথে সাথেই পুলিশকে জানানো হয়। তার পরেও যদি ওই পার্কিং লটে কোন পার্কিং করা হয়, তাহলে সেটা বেআইনী পার্কিং বলে গণ্য হবে। অন্যদিকে, পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে কোন সংস্থা যদি পার্কিং লটের দায়িত্ব নেয়, তাহলে তাঁকে কশান মানি জমা রাখতে হয় পুরসভার কাছে। সেটাই জরিমানা হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

আপাতত টেন্ডার ডাকা থেকে শুরু করে পার্কিং লটের দায়িত্ব দেওয়া পর্যন্ত যে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়, তা করোনা পরিস্থিতিতে আরও বেশী বলে জানা যাচ্ছে। কোন কোন এজেন্সি এই দীর্ঘসূত্রতার সুযোগ নিচ্ছে। সবমিলিয়ে কলকাতা পুরসভাকে ভালো মতন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে সে ক্ষেত্রে এজেন্সিগুলির উপর কড়া নজর রাখার কথা বলা হচ্ছে। আপাতত কলকাতা পুরসভা এই সমস্যার হাত থেকে কি করে বাঁচবে সেটাই দেখার।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!