এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > করোনার নামে বেতন দিচ্ছে না পুরসভা! কাজ করতে নারাজ কর্মীরা! লাটে উঠতে চলেছে পুর-পরিষেবা?

করোনার নামে বেতন দিচ্ছে না পুরসভা! কাজ করতে নারাজ কর্মীরা! লাটে উঠতে চলেছে পুর-পরিষেবা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিপাকে কোচবিহার পুরসভা। পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের একটি অংশ যোগ দিচ্ছেন না কাজে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পুরসভার সাফাইয়ের কাজ। বাইরে থেকে কিছু ঠিক শ্রমিক এনে কাজ চালাবার চেষ্টা হলেও, মিটছে না সমস্যা। অথচ সামনেই কড়া নাড়ছে দুর্গোৎসব। সমস্ত কিছু নিয়ে নাজেহাল কোচবিহার পুরসভা।

অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, পুরসভা তাদের বেতন দিচ্ছে না। প্রসঙ্গত কোচবিহার পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না বিগত চার মাস ধরে। বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে তাঁরা বারবার আন্দোলন করেছেন। পুরসভার বক্তব্য, লকডাউনের কারণে অত্যন্ত হ্রাস পেয়েছে পুরসভার আয়। বিভিন্ন কর থেকে অর্থ সংগ্রহ প্রায় তলানিতে এসে পৌঁছেছে। এ কারণেই পুরসভা অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না। এরফলে বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মী আসছেন না কাজে। প্রতিদিন বাইরে থেকে ৩০ জন ঠিকা শ্রমিককে নিয়ে চলছে পুরসভার কাজ।

পুরসভার অভিযোগ, পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের একটি অংশ পূর্বেও ঠিকমতো কাজে আসতেন না, অথচ বুঝে নিতেন তাদের প্রাপ্য বেতন। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এখন যারা কাজে যোগ দেবেন তাদের কথা পুরসভা নিশ্চয়ই ভাববে। কিন্তু যারা কাজে যোগ দেবেন না, আগামী দিনে তাদের পুরসভায় আদৌ রাখা হবে কিনা, সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে পুরসভা। এ প্রসঙ্গে কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ভূষণ সিং বলেছেন, ” আমাদের ৮০ শতাংশ অস্থায়ী কর্মী কাজ করছেন না। বাকিদের দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাইরের শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। যাঁরা বেতন না পেয়ে এখন কাজে আসছেন না, তাঁদের আগামীদিনে কাজে রাখা হবে না। যাঁরা এ সময় কাজ করছেন, তাঁদের বিষয়ে পুরসভা অবশ্যই ভাববে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, কোচবিহার পুরসভার এক শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা যদি সঠিকভাবে তাদের কাজ না করে থাকেন তাহলে এতদিন পুরসভা সে ব্যাপার নিয়ে কেন নজরদারি করেনি? তাদের কাজ দেখার জন্য পুরসভার অন্য কর্মী আছেন। এ প্রসঙ্গে কোচবিহার মিউনিসিপ্যালিটি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সম্পাদক বীরেশ্বর সুকুল জানালেন, ” চারমাস ধরে পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। ফলে তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই কাজ করছেন না। স্বাভাবিকভাবে শহরে সাফাইয়ের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। শহরে জঞ্জাল অপসারণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। যদি আগে কেউ ঠিকমতো কাজ করে না থাকেন, তাহলে সেটা পুরসভার দেখা উচিত ছিল।”

আবার, এ প্রসঙ্গে কোচবিহার পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা মহানন্দ সাহার মতামত, ” পুরসভার ২০০’র বেশি অস্থায়ী কর্মী কয়েক মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তাই অনেকেই কাজে যোগ দিচ্ছেন না। যেকারণে জঞ্জাল অপসারণ, পথবাতি জ্বালানো, নিকাশি সব ক্ষেত্রেই সমস্যা হচ্ছে। পুরসভার এই বিষয়টি দেখা উচিত।” প্রসঙ্গত পুরসভার অধিকাংশ অস্থায়ী কর্মী কাছ থেকে অব্যাহতি নেওয়ায় পুরসভার সাফাইয়ের কাজ সহ একাধিক পরিষেবা ব্যহৃত হয়ে পড়েছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন কোচবিহার শহরবাসী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!