এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > কৃষি আইন বাতিলের প্রশ্নে মুখে কুলুপ আঁটলেন শুভেন্দু

কৃষি আইন বাতিলের প্রশ্নে মুখে কুলুপ আঁটলেন শুভেন্দু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট  গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী 3 কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিলেন। এক বছর ধরে চলা কৃষকদের 3 কৃষি আইনের বিরুদ্ধে লড়াই শেষ পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে কৃষকদের তাঁদের কাজে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি তিনি কথা দেন, আইনের মাধ্যমেই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে অর্থাৎ আইনের মাধ্যমে 3 কৃষি আইন তুলে নেওয়া হবে। দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে গতকাল থেকে। পাশাপাশি কৃষকদের জন্য অভিনন্দন বার্তা আসছে দেশের সর্বত্র থেকে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর 3 কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চালাচ্ছে দেশের বিরোধী শিবিরগুলি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কৃষকদের শুভেচ্ছাবার্তা জানান। কিন্তু সবথেকে সমস্যায় পড়েছে এ রাজ্যের গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন লাঘু করার প্রথম দিন থেকেই এ রাজ্যের বিজেপি শিবির এই আইনের পক্ষে বলে গেছে। এমনকি একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতেও কৃষিঋণের পজিটিভ দিকগুলি কৃষি আইনের পজিটিভ দিকগুলি বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু খোদ প্রধানমন্ত্রী যখন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিলেন তখন তাঁদের কাছ থেকে আর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পশ্চিমবঙ্গের জমি আন্দোলনের অন্যতম জেলার নন্দীগ্রাম। কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করার সূত্রেই আন্দোলন শুরু হয়। সেখানে তৎকালীন সিপিএম শাসনকালে এবং শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামের কৃষকদের জয় হয়। দিল্লির রাজপথে আন্দোলনকারী কৃষকদের জয়ের কথা প্রকাশ্যে আসামাত্রই তাঁদের খুশিতে মিছিল হল নন্দীগ্রামেও। এবং এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন নন্দীগ্রাম এক এর পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি আবু তাহের। গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর নন্দীগ্রামে চৌরঙ্গী বাজার এলাকায় তৃণমূলের মিছিল বেরোয়। কৃষকদের পাশে নন্দীগ্রামের মানুষের দাঁড়ানোর বার্তা দেন। আবু তাহের। এই একই দিনে নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছিলেন ভগবানপুরে দলীয় কর্মীর স্মরণসভায়।

কার্যত সেখানে সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন এবং শুভেন্দু অধিকারীকে সামনে পেয়ে যথারীতি কৃষি আইন বাতিল নিয়ে তাঁর বার্তা জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু যথারীতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ প্রসঙ্গে কিছুই বলতে চাননি। উপস্থিত সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে কোনো উত্তর না দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী চলে যান। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের গেরুয়া শিবির অস্বস্তির মুখে পড়েছে। তার কারণ প্রথম থেকেই কৃষি আইনের বিরোধিতা করে এসেছে তৃণমূল। আর শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী 3 কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়ে সেই বিরোধিতাকেই মান্যতা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!