এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উপনির্বাচনে মুখ থুবরে পড়েছে বাম-কং জোট! অস্তিত্ব প্রমাণের শেষ সুযোগ মিলছে আজই?

উপনির্বাচনে মুখ থুবরে পড়েছে বাম-কং জোট! অস্তিত্ব প্রমাণের শেষ সুযোগ মিলছে আজই?


2016 সালে বাম কংগ্রেস জোট করে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। পরবর্তীতে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে তারা জোটের চিন্তাভাবনা করলেও দুই দলের মধ্যে ঐক্যের অভাব দেখা গেছে। তবে রাজ্যের সদ্যসমাপ্ত 3 কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে জোট করে নিয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই দাবি করেছিল যে, বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট হওয়ার সুবাদে তারা অনেকটাই দাগ কাটবে।

কিন্তু সেইভাবে দাগ কাটতে দেখা যায়নি তাদেরকে। কিন্তু যেনতেন প্রকারেন নিজেদের অস্তিত্ব তো প্রমাণ করতে হবে। আর তাই অবশেষে এই দুই দলই এবার ঐক্যবদ্ধভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ময়দানে নামতে চলেছে। সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদি সরকারের শিল্পনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, গনসংগঠন এবং কর্মচারী ফেডারেশনের 12 দিনব্যাপী জোড়া লংমার্চ।

জানা গেছে, সকাল ন’টা থেকে শুরু হতে চলা চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার গেট থেকে দক্ষিণবঙ্গের এই লংমার্চের শুভ উদ্বোধন করবেন সিপিএমের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা শ্রমিক নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার এবং মালদহ থেকে শুরু হওয়া দুটি পদযাত্রা আগামী 10 তারিখ শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে সমাপ্ত হবে। আর উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের এই দুই লংমার্চের প্রথম দিনেই প্রচুর নেতৃত্ব-এবং কর্মচারীরা অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সিটুর রাজ্য সম্পাদক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, দক্ষিণবঙ্গের লংমার্চে 283 কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে আগামী 11 ডিসেম্বর কলকাতায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে একটি সভা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই সভার কোনো অনুমতি পাওয়া যায়নি কলকাতা পুলিশের তরফে। ফলে সেদিক থেকে যদি অনুমতি না পাওয়া যায়, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বামেদের শ্রমিক সংগঠন বলে খবর রয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ এই কর্মসূচিকে সার্থক করতে বাম এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বরা আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের দুই বঙ্গে জোট রাজনীতির মূল দুই দল এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন রাজ্যের শাসকদলের আইন-শৃঙ্খলা নীতিকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেবে, ঠিক তেমনই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হবে। কেননা দুই দল জোট করে উপনির্বাচনে লড়াই করে সাফল্য পাবে বলে আশা প্রকাশ করলেও, আদতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই দুই দলকে যে ময়দানে নেমেই সাধারণ মানুষের সমর্থন নিতে হবে, তা উপলব্ধি করতে শুরু করেছে বিধান ভবন এবং আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা।

আর তাইতো কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে সোচ্চার হয়ে এবার দক্ষিণ এবং উত্তরবঙ্গে জোড়া লংমার্চ করছে বাম এবং কংগ্রেস। তবে ভোটবাক্সে জোট করেও যেভাবে তারা সাফল্য পায়নি, তাতে এভাবে ময়দানে নেমে তারা কি আদৌ সাফল্য পাবে! তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে সিটু নেতৃত্বের আশা, তাদের এই কর্মসূচি ব্যাপকভাবে সাফল্য পাবে। তৃণমূল এবং বিজেপি দুজনে দুজনের বিরোধিতা করলেও আদতে তারা একই সাথেই লড়ছে।

তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষকে স্বস্তি দিতে শ্রমিক, মেহনতী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বাম এবং কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের এই আন্দোলন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি কর্মী-সমর্থকদের। তবে শেষ পর্যন্ত এই লংমার্চ কতটা সার্থক আকার ধারণ করে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আর উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর যদি এই লং মার্চও সফল না হয়, তাহলে জোটের অস্তিত্ব নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠে যাবে আগামীদিনে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!