নেতার জেদের ফলেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেস্তে গেল, বামফ্রন্টের নিচুতলায় তীব্র ক্ষোভ কলকাতা রাজ্য March 19, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেসের জোটের ব্যাপারে প্রথম থেকেই তীব্র সওয়াল জানিয়ে এসেছিলেন দু’পক্ষের নিচুতলার নেতাকর্মীরা। এমনকি এই দুই দলের জোট হলে আসন্ন লোকসভায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও বিরোধী দল বিজেপিকে ঠেকাতে বাম এবং কংগ্রেস অনেকটাই লাভবান হবে মনে করছিলেন এই দুই দলের কর্মীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, এখন বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে সেই জোট আর কোনোমতেই সম্ভব নয়। আর এর জন্য নিজেদের নেতৃত্তের একতরফা নীতিকেই দায়ী করতে শুরু করেছেন সিপিএমের নিচুতলার কর্মী সমর্থকরা। কেননা প্রথমেই কংগ্রেসের সঙ্গে ঐক্যমত্যে না এসে নিজেরাই একতরফাভাবে বাংলার পঁচিশটা লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ায় তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। আর যার জন্য রাজ্য নেতৃত্বকেই দায়ী করছে সেই সিপিএমেরই কর্মীরা। সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ সিপিএমের জেলা কমিটির এক দাপুটে নেতা বলেন, “সমস্ত দোষটাই আমাদের রাজ্য নেতৃত্বের। তাদের জেদাজেদির জন্যই কংগ্রেসের সঙ্গে এই আসন সমঝোতা সম্ভব হল না।” অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার ভেস্তে যাওয়ায় তৃণমূল ও বিজেপি অনেকটাই ফায়দা তুলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিপিএমের নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মালদহ জেলা কমিটির এক সদস্য। নেতৃত্বের এই একতরফা নীতি একেবারেই ভুল বলে জানিয়ে দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালদহ জেলা সিপিএমের এক সদস্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজ্য নেতৃত্ব রাত জন্যই এই কাজ হয়েছে। দলীয় সংগঠনের দুর্বলতাকে চাঙ্গা করতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা উচিত বলে এক্ষেত্রে জোট ভেস্তে যাওয়ায় দলীয় নিচুতলার কর্মীদের চাপের মুখে পড়তে হবে জেলার নেতৃত্বকে বলে এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করতেও দেখা গেছে মালদহ জেলা সিপিএমের অনেক নেতাকেই।এদিকে এক দিকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হওয়া, আর অন্যদিকে দলের একাংশের এই ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বকে দোষারোপে কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা সিপিএম। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা বিষয়টিকে অপপ্রচার বলে দাবি করলেন মালদহ জেলা সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মিত্র। এদিন তিনি বলেন, “যখন আসন সমঝোতা নিয়ে কথা হচ্ছিল তখন কেউ কেউ বললেন নিচুতলার কর্মীরা এই সমঝোতা মানবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এখন একা লড়ার সিদ্ধান্তে অনেকে নাকি অসন্তুষ্ট! আসলে কোথাও কোনো ক্ষোভ নেই। আমাদের কর্মীরা সবসময়ই লড়াইয়ের মানসিকতা রাখেন। সবটাই অপপ্রচার চলছে।” অন্যদিকে সিপিএমের সঙ্গে জোট হলে ভালো হত বলে জানান মালদহ জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সদস্য ইশা খান চৌধুরী। সব মিলিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হওয়ার জন্য সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বকেই এখন দায়ী করতে শুরু করে দিয়েছেন কাস্তে হাতুড়ি শিবিরের নিচুতলার কর্মী সমর্থকরা। আপনার মতামত জানান -