এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় >  বিপর্যস্ত কংগ্রেস – লোকসভা নির্বাচনে মালদহকে “পাখির চোখ” করে বিশেষ পরিকল্পনায় গেরুয়া শিবির

 বিপর্যস্ত কংগ্রেস – লোকসভা নির্বাচনে মালদহকে “পাখির চোখ” করে বিশেষ পরিকল্পনায় গেরুয়া শিবির


কিছুদিন আগেই একদা কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত মালদা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর মৌসম তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই তিনি 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী বলে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দলনেত্রীর এখানে ঘোষণার পরে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র যাতে তৃণমূলের দখলে রাখা যায় সেজন্য জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছে সেই মৌসম বেনজির নূর। কিন্তু তৃণমূল তাদের প্রচারের জন্য ইতিমধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়লেও ময়দান ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি।

সূত্রের খবর, এবার গেরুয়া শিবিরের পাখির চোখ মালদহ জেলার উত্তর ও দক্ষিণ মালদহ এই দুটি লোকসভা আসন। আর তাইতো বিভিন্ন ভাবে দলের রণকৌশল ঠিক করে মালদহের এই দুই লোকসভা কেন্দ্র নিজেদের বাগে আনার জন্য বিভিন্ন পন্থা প্রয়োগ করছেন বিজেপি নেতারা।

গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি, মৌসম কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পরেই কংগ্রেসের শক্ত গড় এই মালদহে হাত শিবিরের ভোটব্যাংক কিছুটা হলেও আলগা হয়েছে। অন্যদিকে গনি পরিবারের সদস্যা হিসেবে পরিচিত মৌসমের এই দলবদল অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তাই সে ক্ষেত্রে এই লোকসভা কেন্দ্রে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পেতে পারে বিজেপি বলে মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে এই উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে নিজের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের খগেন মুর্মুকে প্রায় 65 হাজার 705 ভোটে পরাজিত করেন কংগ্রেসের মৌসম বেনজির নূর। দ্বিতীয় স্থানে সিপিএমের পরেই এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে তৃণমূল থাকলেও সেই তৃণমূলের থেকে মাত্র 18 হাজার ভোটে চতুর্থ স্থান দখল করেছে বিজেপি। তাই এবারে 2019 র আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই উত্তর মালদহ লোকসভা আসনটি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির।

অন্যদিকে 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরীর কাছে প্রায় 1 লাখ 64 হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরে যান বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়। তাই এবারে এই কেন্দ্রটিতেও বিজেপি ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

এদিকে মালদহের এই দুটি লোকসভা কেন্দ্র দখল করবার জন্য ইতিমধ্যেই নিজেদের গেমপ্ল্যান সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সম্প্রতি এই মালদায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর জনসভা তীব্র সাফল্য পেয়েছে।

এমনকি মালদার সংগঠনকে চাঙ্গা করতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে শুরু করে অরবিন্দ মেনন প্রায় প্রত্যেকেই এই জেলায় আসছেন। তাই এবার মালদহের এই দুটি লোকসভা কেন্দ্রতে গেরুয়া শিবিরের ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই শক্তিশালী হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তবে ইতিমধ্যেই মালদহের এই দুটি লোকসভা কেন্দ্র কাদের দখলে যাবে তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহের জেলা বিজেপি সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্যর সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। এবারে আমরা মালদহের দুটি লোকসভা কেন্দ্রই দখল করব।” অন্যদিকে 1980 সাল থেকে এই জেলার মানুষ কংগ্রেসের উপরেই ভরসা করছে।

তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস দুটি আসনই দখল করবে বলে জানান মালদহ জেলা কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতি মোস্তাক আলম। তবে বিরোধী দলের দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “স্বপ্নের পোলাওয়ে ওরা যত ইচ্ছে ঘি ঢালুক। মালদহের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় শুধুই…

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!