এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কৃষি ও কৃষক সংক্রান্ত আইন নিয়ে ফের বিক্ষুব্ধ কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কৃষি ও কৃষক সংক্রান্ত আইন নিয়ে ফের বিক্ষুব্ধ কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আনা কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ চওড়া হতে শুরু করেছে। প্রথমে এই বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজ্যসভায় প্রতিবাদ করার কারণে অসাংবিধানিক আচরণের অভিযোগ তুলে তৃণমূলের দুই সাংসদ সহ মোট আট সাংসদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। যার ফলে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আরও প্রতিবাদ করতে দেখা যায় বিরোধীদের।

ইতিমধ্যেই সেই কৃষি বিল আইনে পরিণত হয়েছে। তবে এই বিলকে কেন্দ্র করে যাতে বিরোধীরা বেশি প্রচার করতে না পারে, তার জন্য পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে এই বিলের পক্ষে প্রচার করা হচ্ছে। তবে বিজেপি যতই এই নিয়ে প্রচার করার চেষ্টা করুক না কেন, কৃষি বিলের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ যে অব্যাহত থাকবে, এদিন আবারও তা প্রমাণ করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা গেছে, এদিন উত্তরকন্যা’-র প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পাস করা এই কৃষি বিলের কড়া ভাষায় বিরোধিতা করেন তিনি। যার ফলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় কৃষি বিলকে কেন্দ্র করে আরও বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, এদিন উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জেলাকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সহ প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। আর সেখানেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আনা এই বিলের বিরোধিতা করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওরা কৃষকদের জীবন শেষ করে দিচ্ছে। সর্বনাশ করছে। চাল, ডাল, তেল, নুন সবকিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এরপর ফড়েরা এসে সব নিয়ে চলে যাবে। কালোবাজারি, মজুতকারীর সংখ্যা বাড়বে। যে ফসল উৎপাদন করবেন কৃষকরা, তা তারা নিজেরাই খেতে পারবেন না। এসব বিষয়ে কৃষকদের ভালো করে বোঝাতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন করতে ময়দানে নেমেছে তৃণমূলের কৃষক সংগঠনকে। আর এবার উত্তরকন্যার প্রশাসনিক বৈঠকে যেভাবে তার বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে কেন্দ্র বিরোধিতায় যে তিনি এখনও যথেষ্ট তৎপর, তা বুঝিয়ে দিলেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এদিকে এদিনের উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠকে বিভাজনের রাজনীতি নিয়েও সরব হতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “কামতাপুরী বড় নাকি রাজবংশীরা! আমি বড় না সে বড়! আমরা সবাই মানুষ। সবার নিজস্বতা আছে। ওরা এসব ভাবে না। ভাববেও না। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে রাজবংশী, ওপার বাংলার উদ্বাস্তু, পাহাড়িয়া, আদিবাসী মানুষ বসবাস করেন। এদের নিয়েই বাংলার পরিবার। সকলে ভালো থাকুক তা আমরা চাই। আর ওরা চায় শুধু মানুষের মধ্যে বিভাজন, বিভেদ আর কুৎসা।”

বিশ্লেষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বলে আদতে বিজেপিকে কটাক্ষ করার চেষ্টা করলেন। একদিকে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে যেমন নিজের অবস্থানকে স্পষ্ট করলেন তিনি, ঠিক তেমনই বিজেপি বিরোধিতার মধ্যে দিয়ে বাংলায় বিভাজনের রাজনীতির হচ্ছে বলে গেরুয়া শিবিরকে তুলোধোনা করার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে আরও একবার কেন্দ্র বিরোধিতার সুর স্পষ্ট হল তৃণমূল নেত্রীর কোথায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!