মোদীর প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বানের পরেই মমতা ‘রাজনৈতিক যুদ্ধ লাগানো’, নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন! কলকাতা রাজ্য April 4, 2020 এমনিতেই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। প্রায় বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের শাসক দলের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের দ্বৈরথ লক্ষ্য করা যায়। তবে করোনা মহামারী যেদিন থেকে ভারতবর্ষের চরম আকার ধারণ করেছে, সেদিন থেকেই রাজনীতি ভুলে গিয়েছেন সকলে। একযোগে কেন্দ্র-রাজ্য মিলে কাজ করার চেষ্টা করছেন। তবে করোনা মহামারীকে আটকাতে দেশ যখন লকডাউন, ঠিক তখনই শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এক অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেখানে আগামী 5 এপ্রিল রবিবার রাত্রি ন’টায় 9 মিনিটের জন্য ঘরের আলো বন্ধ করে সকলকে মোমবাতি, প্রদীপ এবং মোবাইলের ফ্লাশ জ্বালানোর আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর প্রধানমন্ত্রী এই বার্তা দেওয়ার সাথে সাথেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা গেছে, তৃণমূলের অনেকেই তার বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মানুষকে কি সেই একই বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তার দিকে শুক্রবার দিনভর নজর ছিল। প্রধানমন্ত্রীর বাতি জ্বালানোর পরিপ্রেক্ষিতে কি বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনেই কার্যত ক্ষুব্ধ হন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। কিছুটা ক্ষোভের সঙ্গেই তিনি বলেন, “আপনার যদি ইচ্ছা হয় আপনি প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে প্রদীপ জ্বালান। আর আমার ইচ্ছা হলে আমি ঘুমাবো। আমি এখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সামলাবো নাকি আপনারা যে রাজনৈতিক যুদ্ধ লাগাতে চাইছে, তার উত্তর দেব?” তিনি আরও বলেন, “প্লিজ, এখন অন্তত রাজনৈতিক যুদ্ধ লাগাবেন না। আপনাদের যদি মনে হয় প্রধানমন্ত্রী ভালো কথা বলছেন, আপনারা শুনুন। আমার এখন এসব কথায় নাক গলাতে ইচ্ছে করছে না।” তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই বার্তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেভাবে কোনো বিরোধিতা না করলেও, কেন্দ্রের অসহযোগিতার কথায় এদিন বারেবারে ফুটে ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তিনি বলেন, “রাজ্যের কোথাও কোথাও রাজনৈতিক সুবিধার চেষ্টা করছে। কেউ কেউ বলছে সব কেন্দ্র করে দিচ্ছে। কেন্দ্র একটাও মাস্ক দেয়নি। রেশন দোকানে গিয়ে বলছে, কেন্দ্র চাল দিচ্ছে। কেউ কেউ বলছে, তৃণমূলের সিম্বল লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে তৃণমূলের সিম্বল লাগানো হচ্ছে, সেখানে দলগতভাবে করা হচ্ছে। আমি যেমন একাধারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তেমনই আমি তৃণমূল নেত্রী।” সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাতি জালানো থেকে শুরু করে কেন্দ্রের অসহযোগিতা, সব ব্যাপারেই মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনার মতামত জানান -