এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতাকে চাপে ফেলতে নিখুঁত পরিকল্পনা শুভেন্দুর, সামনে এল হাড়হিম করা তথ্য! জেনে নিন

মমতাকে চাপে ফেলতে নিখুঁত পরিকল্পনা শুভেন্দুর, সামনে এল হাড়হিম করা তথ্য! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতীর্থ এখন তার প্রতিপক্ষ টিমের অন্যতম ক্যাপ্টেন। বিধানসভার ভেতরে প্রতিমুহূর্তে যে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্নবানের মুখে পড়তে হবে রাজ্যের শাসক শিবিরকে, তা বলাই যায়। বস্তুত, বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে উঠেপড়ে লাগতে দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ককে। জয়লাভের পর নিজের মন্তব্য থেকে শুরু করে অঙ্গভঙ্গির মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভার ভেতরে শাসক শিবিরকে একচুল জায়গা ছেড়ে দেবেন না তিনি। এক্ষেত্রে অতীতে বিরোধী দলের জায়গা দখল করা বাম এবং কংগ্রেসের মতো যে বিজেপি হবে না, তাও বুঝিয়ে দিতে দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের বিরোধী দলনেতাকে।

আর নিজের কথা মতোই কাজ করেছেন তিনি। বিধানসভার অধিবেশনের একদম প্রথম দিনেই রীতিমতো বিক্ষোভ, স্লোগানে সরকারপক্ষকে চাপের মুখে ফেলে দিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। আর বিজেপি বিধায়কদের এই সমবেত প্রতিবাদের পেছনে শুভেন্দু অধিকারীর সূক্ষ্ম পরিকল্পনা রয়েছে বলেই গোপন খবর সামনে এল। যার ফলে রীতিমতো আগামীদিন যে তৃণমূলের পক্ষে শুভেন্দু অধিকারী এবং ভারতীয় জনতা পার্টি যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে রাজ্যপাল ভাষণ শুরু করতেই রীতিমতো বিক্ষোভ শুরু করে দেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা‌। তবে এই বিক্ষোভ যে হবে, তা বিজেপির অনেক বিধায়কের কাছেও খবর ছিল না। এক্ষেত্রে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী নিজের পরিকল্পনা মোতাবেক নিজের ঘনিষ্ঠ দুই থেকে তিন জন বিধায়ককে সেই কথা জানিয়ে রেখেছিলেন। আগেভাগে যাতে কারও কাছে এই ব্যাপারে কোনো খবর না পৌছয়, তার জন্য গোপনীয়তা বজায় রাখতে দেখা গিয়েছিল তাকে। আর একেবারে রাজ্যপাল নিজের বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য শুরু করতেই ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা কেন সেখানে নেই, সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে ধরে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ করে গোটা পরিস্থিতিকে থমকে দিতে দেখা গেল ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, এভাবেই আগামী দিনগুলোতেও বিধানসভার ভেতরে শাসক দলকে বিড়ম্বনায় ফেলতে সচেষ্ট হবেন শুভেন্দু অধিকারী। পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী খুব ভালো করেই জানেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে কিভাবে চাপে ফেলতে হয়! দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করেছেন তিনি। তাই বিধানসভার ভেতরে শাসক দলকে চাপে ফেলতে সমস্ত রকম চেষ্টা চালিয়ে যাবেন নন্দীগ্রামে বিজেপি বিধায়ক। আর তা যদি হয়, তাহলে অনেকদিন পর এবারের বিধানসভায় শাসক-বিরোধী জোর টক্কর দেখতে পাবেন পশ্চিমবঙ্গের জনতা জনার্দন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে আবার বলতে শুরু করেছেন, বিধানসভায় বিরোধী দলের ভূমিকা অনস্বীকার্য‌। সেক্ষেত্রে বিরোধী দল যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে গণতন্ত্র ভেঙে পড়ে। পশ্চিমবঙ্গে বিগত 10 বছর ধরে বিরোধী দলের জায়গায় ছিল বাম এবং কংগ্রেস। কিন্তু সেভাবে তাদের লড়াই আন্দোলন করতে দেখা যায়নি। তবে এবার প্রতিপক্ষ বিজেপি বিরোধী আসনে। সরাসরি তৃণমূলের সঙ্গে যে বিজেপির টক্কর হবে, তা বলাই যায়।

আর যখন প্রতিপক্ষ টিমের অন্যতম ক্যাপ্টেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারী, তখন বিধানসভার অন্দরমহল যে আগামী দিনে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা‌। অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী গেরিলা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আগামী দিনেও শাসক শিবিরকে চাপের মুখে ফেলে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আগামী পাঁচ বছর রাজ্য বিধানসভাকে আরও অনেক দৃশ্য এবং নাটকীয় পরিস্থিতি দেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!