এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতাকে ধাক্কা, এসএসকেএমের চূড়ান্ত ডিগবাজি! সন্দেহ আরও বাড়লো!

মমতাকে ধাক্কা, এসএসকেএমের চূড়ান্ত ডিগবাজি! সন্দেহ আরও বাড়লো!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই একটি ছবি সামনে আসে। যেখানে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন এবং তার কপাল ফেটে রক্ত পড়ছে। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারা যায় যে, মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে পড়ে গিয়েছেন। সেই কারণে তিনি আহত হয়েছেন। তবে কি কারণে তিনি আহত হলেন! কিভাবে হলেন, এই সম্পর্কে নানা মহলে নানা চর্চা হলেও, সকলেই তাকিয়ে ছিলেন মেডিকেল বুলেটিনের দিকে। অবশেষে সেই মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে প্রশ্ন তৈরি হয়। কারণ সেখানে দেখা যায় যে, মুখ্যমন্ত্রীকে কেউ নাকি ধাক্কা দিয়েছে। আর সেই কারণেই তিনি পড়ে গিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যার নিরাপত্তায় এত পুলিশ, যার পরিবারে এত সদস্য রয়েছেন, তিনি বাড়িতে থাকা অবস্থায় কে তাকে ধাক্কা দিল? তাহলে তার পরিবারেই ঘর শত্রু বিভীষণ রয়েছে নাকি? এই সমস্ত তুলতে শুরু করেন সমালোচকরা। কিন্তু এই প্রশ্ন যখন অস্বস্তিকর জায়গায় চলে যায়, তখনই এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আর একটি কথা বলা হয়। আর সেই কথা নিয়েই, সেই বক্তব্য নিয়েই, তাদের ডিগবাজি নিয়েই এখন বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সকলে বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা, তার চিকিৎসা কি ছেলে খেলার মত বিষয় নাকি? কেন বারবার নিজেদের কথার পরিবর্তন করছে কলকাতার শহরের এই নামি হাসপাতাল?

প্রসঙ্গত, প্রথমে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মেডিকেল বুলেটিনে এক কথা বলা হলেও, পরবর্তীতে সেই বিষয় নিয়ে প্রবল চর্চা শুরু হয়। সকলের মনেই একটা প্রশ্ন তৈরি হয় যে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তিনি যখন ছিলেন, তখন কে ধাক্কা দিল? তবে এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ আবার অন্য একটা কথা বলেন। তাদের পক্ষ থেকে আবার বলা হয় যে, কোনো মানুষ ধাক্কা দেয়নি। বরঞ্চ মুখ্যমন্ত্রীর অনুভূত হয়েছে যে, তাকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসাজনিত বিষয় নিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ প্রথমে এক কথা বললেও, পরবর্তীতে তারা কিন্তু সম্পূর্ণরূপে সুর পরিবর্তন করে। আর এটাই সন্দেহজনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে সকলের কাছে। অনেকের প্রশ্ন, প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে বলে পরবর্তীতে তিনি অনুভূত করেছেন, এটা কোনো মেডিকেল টিমের কথা হতে পারে? মেডিকেল টিম মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছে। ফলে তারা যদি এইরকম খামখেয়ালিপনা কথা বলে, তাহলে রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়েই তো প্রশ্ন উঠবে। কোন ভরসায় দূরদূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ এসএসকেএম হাসপাতালে ছুটে আসবেন চিকিৎসা করানোর জন্য? যারা মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার বিষয় নিয়ে দুবার ডবল ডবল ডিগবাজি খান, তাদের অভিজ্ঞতা নিয়েই তো এখন প্রশ্ন উঠছে। অনেকে আবার বলছেন, এটা মূল বিষয়কে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা নয় তো? মুখ্যমন্ত্রীকে কেউ বা কারা ধাক্কা দিয়েছেন, সেটাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়ে তিনি অনুভব করেছেন, এটা বলে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে না তো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

পর্যবেক্ষকদের মতে, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ প্রথমে এক কথা বলে পরবর্তীতে ভয় পেয়েছেন। হয়ত অন্য কোনো জায়গা থেকে তাদের বলা হয়েছে যে, এইরকম কথা বলা যাবে না। সেই কারণে তারা সুর পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অনুভব করেছেন, এইরকম কথা তারা এখন বলতে শুরু করেছেন। কিন্তু যত তারা সুর পরিবর্তন করছেন, ততই মুখ্যমন্ত্রীর এই আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ বাড়ছে রাজ্যের মানুষের মনের মধ্যে। কারণ এমনিতেই অনেকের রসিকতা করে বলছেন যে, ভোট এলেই চোট। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কপাল ফেটে রক্ত পড়ছে, এত বড় একটা সিরিয়াস বিষয়। রাজ্যের এক নম্বর ব্যক্তি বাড়ির ভেতরে পড়ে গেলেন, অথচ তার রক্ত মুছিয়ে দেওয়ার মত কোনো লোক নেই, তাকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে আসতে হলো সেই রক্তমাখা অবস্থায়? এত প্রশ্ন ওঠার মাঝখানেই এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের দুইবার দুই রকম বক্তব্য কিন্তু বড় সংশয় সৃষ্টি করছে জনতার মধ্যে। প্রশ্ন তুলছে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!