এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার আচরণে বিস্মিত শুভেন্দু পেলেন বড় “আঘাত”! জেনে নিন আসল কারণ!

মমতার আচরণে বিস্মিত শুভেন্দু পেলেন বড় “আঘাত”! জেনে নিন আসল কারণ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  একসময় তৃণমূল সরকারের একাধিক দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের শেষের দিকে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন তিনি। তবে এক বছর আগে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের দাপটে যখন মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তখন তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী হিসেবে মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী‌।

তবে এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। এখন তিনি শাসক দলের সঙ্গে নেই। বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বিজেপির বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। সেদিক থেকে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিদিন অভিযোগ করা হয় যে, দুর্যোগে তাদের জনপ্রতিনিধিদের মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে শিবির পরিবর্তন করা শুভেন্দু অধিকারীর গলাতেও শোনা গেল সেই অভিযোগ।

যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণে তিনি অবাক বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেত্রীকে। পাশাপাশি দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে রাজ্যের তৃণমূল সরকার যে থাকেনি, সেই বিষয়টি তুলে ধরে বিরোধীদের জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না এই বিষয়টিও তুলে ধরার চেষ্টা করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যে এখন ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি মানুষের আনন্দে নয়, দুঃখে থাকি। আমি আগেও বলেছি, আজও বলছি, রাজ্যে একটা অন্যরকম প্রশাসন চলছে। রাজ্যের প্রশাসন বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। এত বড় একটা ঘূর্ণিঝড় হল‌‌। কিন্তু জেলা প্রশাসন গত তিনদিন ধরে বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। বিরোধী দলের সাংসদ, বিধায়ক, পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীদের সঙ্গে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা কথা বলার প্রয়োজন মনে করেন না। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আচরনে আমি হতবাক। তবে আমাদের লড়াই থামবে না। আমরা আমাদের লড়াই জারি রাখব।”

পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সাথে বিজেপি যে সব সময় থাকবে, সেই বিষয়টিও তুলে ধরার চেষ্টা করেন শুভেন্দু অধিকারী। একাংশ বলছেন, দুর্যোগের সময় রাজনীতি না দেখে শাসক-বিরোধী সকলে মিলে একসাথে চলা উচিত। কিন্তু এবারেও শাসকদলের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা তৃনমূল সরকারকে এই দুর্যোগের মুহূর্তে কিছুটা হলেও চাপের মুখে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, দুর্যোগের আগে থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তারা সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে এসেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনকি এবারে আগের অভিজ্ঞতা নিয়ে রাজ্যের প্রস্তুতি হয়ত বা অনেকটাই ভালো বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেদিক থেকে এবারে দুর্যোগ কাটাতে হাতে হাত মিলিয়ে সকলে কাজ করবে বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্যোগ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

যেখানে তিনি নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীদের মাথা তুলে দাঁড়ানোর জায়গা দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে গণতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী, বিরোধীদলের জায়গা পাওয়া বিজেপির যে সমস্ত বিধায়করা রয়েছেন, তাদের দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কোনো রকম সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলে স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!