এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে অস্বস্তি, কড়া প্রতিক্রিয়া মমতার, পাল্টা জবাব বিজেপির!

মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে অস্বস্তি, কড়া প্রতিক্রিয়া মমতার, পাল্টা জবাব বিজেপির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে চরম আকার ধারণ করেছিল হিংসার ঘটনা। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে মানবাধিকার কমিশনকে আক্রান্তদের কথা শোনার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অবশেষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে আক্রান্তদের কথা শুনে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। যেখানে রিপোর্টের পরোতে পরোতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবং তাদের প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। আর এবার গোটা ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেল তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে হাইকোর্টে জমা পড়া রিপোর্ট কিভাবে প্রকাশ্যে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। পাশাপাশি বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় প্রতিহিংসাপরায়ন রাজনীতি করারও অভিযোগ তুললেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ে। যেখানে রাজ্যের একাধিক বিধায়ক থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের দুষ্কৃতী বলে সেই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। আর এরপরেই গোটা ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের শাসক দল। নবান্ন থেকে গোটা বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভোটের পরাজয় বিজেপি মেনে নিতে পারছে না। পুরোটাই বৈষম্যমূলক রাজনীতির চক্রান্ত। নিরপেক্ষ কিছু সংস্থাকে দখল করে নানা রকম ভাবে এসব করা হচ্ছে। আমরা সরকারে রয়েছি। আদালত আমাদের বক্তব্য জানানোর জন্য হলফনামা পেশ করার সময় দিয়েছে। এটা হচ্ছে শুধুমাত্র বাংলাকে অসম্মান করার জন্য। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা না থাকলে এভাবে সমস্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে দেওয়া হয় কেন? যে রিপোর্ট আদালতে জমা পড়ল, তা বাইরে আসে কিভাবে? কিভাবে তারা কোর্টকে অসম্মান করে!”

অর্থাৎ এইভাবে প্রকাশ্যে রিপোর্ট আসা যে তিনি খুব একটা ভালো ভাবে নিচ্ছেন না, তা বুঝিয়ে দিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেই তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি যে অভিযোগ উঠেছে, তা হল আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং হিংসার ঘটনা। আদালতের নির্দেশে রীতিমতো পুড়েছে রাজ্য সরকারের। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট সেই রাজ্যের বিড়ম্বনা আরও দ্বিগুন ভাবে বাড়িয়ে দিল।

যার ফলে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে গোটা ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক বক্তব্য রাখতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাপারে অভিযোগ করলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। বরঞ্চ মানবাধিকার কমিশনের জমা দেওয়া এই রিপোর্টকে বাড়তি হাতিয়ার হিসেবে পেয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। যার ফলে সেই রিপোর্টকে তুলে ধরে পাল্টা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিজেপিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্যকে খণ্ডন করে পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “কমিশনের প্রতিনিধিরা যে সমস্ত জায়গায় গিয়েছিলেন, যেখানে আইন-শৃঙ্খলার কোনো চিহ্ন দেখতে পাননি। তাদের মনে হয়েছে, পুলিশ, সমাজবিরোধী এবং রাজনৈতিক দলের যোগসাজশে মানুষের উপর আক্রমণ হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাই ওই রিপোর্ট তাদের পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে যে সমস্ত বিষয় উঠে এসেছে, তা তৃণমূলের পক্ষে অস্বস্তিকর বটেই। উদয়ন গুহ থেকে শুরু করে পার্থ ভৌমিক, এমনকি রাজ্যে হেভিওয়েট মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও সেই রিপোর্টে অভিযুক্ত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এদের হাত দিয়েই ভোটের ফলাফলের পরবর্তী সময়ে হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই আদালতে এই রিপোর্ট জমা পড়ার পর রীতিমতো জেরবার তৃণমূল শিবির। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, পার্থ ভৌমিক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা যদি অভিযুক্ত হন, তাহলে অর্জুন সিংহ কি ধোয়া তুলসিপাতা? আর এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করেই এখন রীতিমত সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!