মসজিদের নাম বদলে বিষ্ণুর নামে করতে চেয়ে দেশজোড়া বিতর্কের ঝড় তুললেন বিজেপি নেতা জাতীয় November 13, 2018 নির্বাচনের আগে নিউজ চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের একাধিক বিতর্কমূলক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায়। একজনের যুক্তিকে খন্ডন করে অন্যজন কথার মারপ্যাঁচে নিজেদের যুক্তি স্থাপন করতে গিয়ে কখনো কখনো কটূ কথা বা কড়া ভাষায় প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করেন। এগুলো প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের আগের নিউজ চ্যানেলগুলোর সাধারণ ছবি। এরকমই এক অনুষ্ঠানে প্রতিপক্ষের সমালোচনা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে জড়ালেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। বক্তব্য প্রকাশ করতে গিয়ে অশালীন শব্দ প্রয়োগ করে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমি সংগঠনের মুখপাত্রকে কার্যত শাসানি দিয়ে ফেললেন এই বিজেপি নেতা। এর জেরে ফের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে চাপে পড়ল গেরুয়াশিবির। শুধু তাই নয়,মোদী-শাহের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে এই বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন প্রদত্ত আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যুক্তি, যে নির্দিষ্ট সময়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে বলা হয়েছিল,তা না করে নিজের মর্জি মতো অন্য সময় বেছে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। কংগ্রেসই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল এই অভিযোগ জানাতে। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সূত্রের খবর,এদিন একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলে এক বিতর্কমূলক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সম্বিত পাত্র সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা। যুক্তি-পাল্টা যুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে করতে অনুষ্ঠান চলাকালীনই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন বিজেপি মুখপাত্র। উক্ত ওই মুসলিম সংগঠনের প্রতিনিধি সৈয়দ আসীম ভাকারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। তর্কাতর্কিতে উঠে আসে ধর্মীয় প্রসঙ্গ। সৈয়দ আসীম ভাকারকে উক্ত করে সম্বিত বলেন,’প্রথমে বলুন আপনি আল্লার ভক্ত, নাকি ভগবানের ভক্ত।’ জবাবে ভাকার বলেন, ‘আমি আল্লারই ভক্ত, কিন্তু আমি আপনার ধর্মকেও সম্মান করি।’ এরপর আরও উত্তেজিত হয়ে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, ‘চুপচাপ বসে পড়ুন, নাহলে কোনও মসজিদের নাম বদলে ভগবান বিষ্ণুর নামে করে দেব, তখন চিত্কার করতে থাকবেন।’ এই মন্তব্যের পরই মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় কথাটি। যেহেতু একটি নিউজ চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে বসে তিনি বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন তাই আগুনে হাওয়া লাগার মতো ছড়িয়ে যায় কথাটি। সমালোচনার ঝড় উঠে যায় সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন রাজনৈতিকমহলে। কেন্দ্রের শাসনে থাকা রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র এরকম মন্তব্য কীভাবে করতে পারলেন? এ নিয়ে দফায় দফায় প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। বিজেপি কি তাহলে ক্ষমতার প্রদর্শন করতে শুরু করল? প্রশ্নে সরব নেটিজনেরাও। যদিও এসব প্রশ্নের জবাবে মুখ খোলেননি বিতর্কিত মন্তব্যে করা বিজেপির হেভিওয়েট নেতা। আপাতত কোন শাস্তির মুখে তাকে পড়তে হবে,তা নিয়েই চিন্তায় রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে,প্রতিক্রিয়া জানাননি মোদী-শাহরাও। তবে গোটা ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল তুঙ্গে রয়েছে গেরুয়াশিবিরে। আপনার মতামত জানান -