প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিভিন্ন জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “দিদি” বলে সম্বোধন করে তার কাছে বিভিন্ন কাজের হিসেব চাইছেন। এক্ষেত্রে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে “দিদি” শব্দ প্রয়োগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে আক্রমণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্য নিয়ে আপত্তি তুলতে দেখা গেল তৃণমূলের মহিলা নেত্রীদের।

যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করে প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের অপমান করছেন বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা। আজ একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ করতে দেখা যায় তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেডকে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, আজ তৃণমূল ভবনে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া এবং অনন্যা চক্রবর্তী। আর সেখানেই তিন মহিলা নেত্রী তাদের নিজেদের নিজেদের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। শশী পাঁজা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি মহিলাদের অপমান করেছেন।”

অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া বলেন, “শুধুমাত্র তৃণমূল নেত্রীকে অপমান করা হয়নি। বাংলার সমস্ত মহিলাদের অপমান করা হয়েছে।” একইভাবে এই ব্যাপারে অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমরা এমন একজনকে পেয়েছি, যার মহিলাদের প্রতি কোনো সম্মান নেই. তার বিবাহিত জীবনেই সেটা স্পষ্ট। তিনি বিবাহিত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন না নির্বাচনী ফর্মে। একটি রাজ্যের সেখানকার নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি যেভাবে কথা বলছেন, যেভাবে কোন কেটে কথা বলছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং চিন্তার বিষয়।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী ময়দান এবার ক্রমশ জমে উঠতে শুরু করেছে। রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন। আর এবার বিজেপি নেতাদের সেই আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিতে দেখা গেল তৃধমূলের মহিলা নেত্রীদের। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণ করার ভাষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে মহিলাদের অসম্মান করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শশী পাঁজা, জুন মালিয়া এবং অনন্যা চক্রবর্তী।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেডের পক্ষ থেকে এই ধরনের অভিযোগ তোলায় ভারতীয় জনতা পার্টি কিছুটা হলেও অস্বস্তির মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।