এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > হেভিওয়েটের পদ হারানোর কারণ কি কাজ না করা, দলীয় নেতৃত্বের মন্তব্যে জল্পনা !

হেভিওয়েটের পদ হারানোর কারণ কি কাজ না করা, দলীয় নেতৃত্বের মন্তব্যে জল্পনা !


জলপাইগুড়ি নিয়ে এখনো জট কাটলো না। প্রশাসক পদে বসানো নিয়ে এখনো মতভেদ স্পষ্ট। প্রসঙ্গত, বর্তমানে সমস্ত মেয়াদ উত্তীর্ন পৌরসভাগুলিতে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শাসক থেকে বিরোধী বিভিন্ন পৌরসভাগুলোতে সেখানকার প্রাক্তন মেয়র এবং চেয়ারম্যানদের প্রশাসক করা হলেও, ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি পৌরসভায়। সেখানে এতদিন মোহন বসু চেয়ারম্যান থাকলেও, তাকে প্রশাসক করা হয়নি। যার জায়গায় প্রশাসক করা হয়েছে সেই পৌরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পালকে। এই নিয়েই এখন তোলপাড় জলপাইগুড়ি।

মোহন বসুকে কি এবার দলের মধ্যেই কোনঠাসা করা হয়েছে ? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিকমহলে।কেননা জানা যাচ্ছে, এই পৌরসভায় সেই প্রশাসক বোর্ডে আরও চারজন তৃণমূল কাউন্সিলরকে সদস্য করা হয়েছে। তবে সেখানেও নাম নেই প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুর। অনেকেরই প্রশ্ন, যেখানে মোহনবাবু দীর্ঘ 17 বছর ধরেই জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ সামলে আসছেন, সেখানে কেন তাঁকে প্রশাসক করা হল না?

একাংশের মতে, জেলা সভাপতি পদে কিষাণ কুমার কল্যাণী বসার পর থেকেই মোহন বসুর সঙ্গে তার বিরোধ শুরু হয়। সেদিক থেকে এই কিষান বাবুর অঙ্গুলিহেলনে প্রশাসক বোর্ড তৈরি হয়েছে। আর তাতে জায়গা পাননি প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু।

এদিন এই প্রসঙ্গে মোহন বসু বলেন, “জেলা নেতৃত্ব ভালো কাজ করলে তার প্রশংসা করব। জেলা কমিটি যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে আঘাত করে বা সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে প্রতিবাদ করব। আমি সবসময়ই প্রতিবাদ করে এসেছি। আগামী দিনেও অন্যায়ের প্রতিবাদের পথে থাকব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে মোহন বসুর প্রশাসক বোর্ডে না থাকা নিয়ে এদিন মুখ খুলতে দেখা গেছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণীকে। এদিন তিনি বলেন, “যে পরিবর্তন হয়েছে, তা আমার এক্তিয়ারের এর মধ্যে পড়ে না। যিনি জনগণের সেবা দিতে পারবেন, তাকে রাজ্য সরকার দায়িত্ব দিয়েছে। কেউ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে কিছু বলতেই পারেন। আমি সেটা জানি না। গুরুত্ব দিই না। দলটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মোহনবাবু কংগ্রেস করতেন। 2014 সালে তিনি এসেছেন। আগামী দিনে নির্বাচনী ময়দানে তিনি নামতেই পারেন। কোনো অসুবিধা নেই। কাজের ক্ষেত্রে পদটা বড় ব্যাপার নয়। সাধারণ কর্মী হয়েও মহৎ কাজ করা যায়। দলের নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো উচিত।”

আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে তিনি বলেছেন যে, যিনি জনগণের সেবা দিতে পারবেন, তাকে রাজ্য সরকার দায়িত্ব দিয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে তবে কি মোহনবাবু নিজের কাজ করছিলেন না। জনগণ তাঁর থেকে সেবা পাচ্ছিলেন না। যে কারণেই তাঁকে পদ ছাড়তে হলো। যদিও এই নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি মোহনবাবু।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!