এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পরই মোদীকে ধন্যবাদ মমতার, ট্যুইট ঘিরে জল্পনা!

মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পরই মোদীকে ধন্যবাদ মমতার, ট্যুইট ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠনের জন্য বারবার নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রশাসনিক বা দলীয়, কোনো দিক থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। তবে বাংলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুজনের সেই সম্পর্ক আরও করুণ হয়ে যেতে শুরু করেছিল। সৌজন্যতা সম্পূর্ণরূপে ভেস্তে গিয়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতে তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল বাংলার ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যের নেতা-নেত্রীরা তাকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাকে কোনো ফোন করেননি বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই কার্যত হতাশা ফুটে উঠেছিল। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাকে ফোন না করার কারণে তিনি যে যথেষ্ট হতাশ, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণের পরই টুইট করে তাকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এরপরই এবার সেই টুইটের জবাব দিয়ে পাল্টা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পাল্টা টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি লেখেন, “শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মোদীজিকে ধন্যবাদ। আশা করি, বাংলার উন্নতির জন্য কেন্দ্র সব রকম ভাবে সাহায্য করবে।” অর্থাৎ দলীয় দিক থেকে যতই তাদের মধ্যে মতভেদ থাক না কেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর যেভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাতে পাল্টা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সৌজন্যতা বজায় রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের যদি দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে, তাহলে বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকটাই সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই সবদিককার কথা মাথায় রেখে সেই ট্যুইটের মধ্যে দিয়ে বাংলার উন্নতির জন্য কেন্দ্র সবসময় সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

একাংশ বলছেন, নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদী বা তৃণমূল সরকার সম্পর্কে নানা মন্তব্য করার পর ব্যক্তিগতভাবেও প্রধানমন্ত্রীকে নানা কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা অশালীন মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা। ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপি বিরোধী দলের ক্ষমতা দখল করেছে ঠিকই। কিন্তু রাজ্যে ক্ষমতায় আসার জন্য যে 200 আসনের কথা বলেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি, সেই স্বপ্ন অধরা থেকে গেছে।

আর এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পাল্টা ধন্যবাদ জানিয়ে কার্যত সৌজন্যতা বজায় রেখে ভবিষ্যতে যাতে সহযোগিতার রাস্তা খোলা থাকে সেই দিকটি তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দীর্ঘ তিক্ততার পর টুইটের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর এই সৌজন্য বিনিময় কেন্দ্র-রাজ্য দূরত্ব কতটা দূরীভূত করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!