এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মুকুল-দিলীপ কি সত্যি যোগ্য নয়, পঞ্চপান্ডবকে দায়িত্ব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!

মুকুল-দিলীপ কি সত্যি যোগ্য নয়, পঞ্চপান্ডবকে দায়িত্ব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এ বাংলার ক্ষমতা দখল করা কার্যত টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির কাছে। ইতিমধ্যেই একাধিকবার রাজ্যে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য অমিত শাহ কে নির্দেশ দিয়েছেন আরো বেশি করে পরিবর্তনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে এক্ষেত্রে কিছুদিন আগেই বাংলা সফরে এসে দুইশ আসনের টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাবার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে বারেবারেই প্রশ্ন উঠেছে, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার মত বিজেপিতে তেমন গ্রহণযোগ্য মুখ নেই।

স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকেও এবার বাংলার বিজেপি নেতাদের বদলে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা পাঁচ নেতাকে বাংলার পাঁচটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। অনেকেই বলছেন, বিজেপিকে যদি বাংলার ক্ষমতা দখল করতে হয়, তাহলে 2021 তাদের কাছে একটা বড় সুযোগ। তাই এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইছেন না অমিত শাহ।

আর সেই কারণে বাংলার বিজেপি নেতাদের যে গ্রহণযোগ্যতা অতটা নেই, তা বুঝতে পেরেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিজেপি নেতারা বিভিন্ন রাজ্যে দলকে সাফল্য পাইয়ে দিয়েছেন, তাদেরকে আরও বেশি করে বাংলায় পড়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ এক্ষেত্রে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে মুকুল রায় সারাবছর বাংলার সংগঠন সামলালেও অমিত শাহ রাজ্যে আসন্ন পরিবর্তন আনতে সেই সমস্ত বাংলার বিজেপি নেতাদের অপেক্ষা অন্য রাজ্যের নেতাদের ওপর সবথেকে বেশি ভরসা করতে শুরু করেছেন। নতুন করে বাংলার পাঁচটি জোনের দায়িত্ব সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পাঁচজন বিজেপি নেতার কাঁধে পড়ায় সেই সম্ভাবনা আরও প্রবল হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপির পক্ষ থেকে যখন বারবার বাংলা দখলের কথা বলা হয়েছে, তখন তাকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার মত কেউ নেই ভারতীয় জনতা পার্টির। এমনকি বারবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে এটাও অভিযোগ করে বলা হয়েছে যে, বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি জানে না। তারা যদি এই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে, তাহলে বাইরের ব্যক্তিরা বাংলা শাসন করবে।

স্বভাবতই এই ঘটনা থেকে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে ছিল বিজেপির বাংলার নেতৃত্বরা। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিপক্ষ টিমের প্রধান মুখ, সেখানে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই দেওয়ার মত যদি গ্রহণযোগ্য মুখ বিজেপির কাছে না থাকে, তাহলে তারা কিভাবে সাফল্য পাবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। আর এই সহজ সত্যটাকে বুঝেই এবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ব্যাপক আধিপত্য বিস্তার লাভ করা পাচ নেতাকে বাংলার দায়িত্ব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য অমিত শাহ বলে মনে করা হচ্ছে।

কেননা এই পাঁচ নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে বাংলার সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করার কৌশল নিয়েছেন অমিত শাহ। কারণ তিনি অনুভব করেছেন যে, দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায় বাংলার সংগঠনের প্রধান পরিচালনার দায়িত্বে থাকলেও সেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলার মতো পরিস্থিতি তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই অতীতে যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল না এবং সেখানে যে সমস্ত নেতাদের কৌশলে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে, এবার সেই সমস্ত নেতাদের বাংলায় বাংলায় এনে পরিবর্তন করতে চাইছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এর ফলে কি তৃণমূল আদৌ চাপে পড়বে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায় মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই দ্বন্দ্ব যদি নির্বাচনের আগে আরও বৃদ্ধি পায়, তাহলে ক্ষমতা দখল করা কার্যত স্বপ্নে পরিণত হবে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। তাই এই দুই নেতাকে নিজেদের জায়গায় রেখে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পাঁচ নেতাকে বাংলার সংগঠনে নজরদারি রাখার দায়িত্ব দিয়ে অমিত শাহ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে বন্ধ করতে চাইলেন।

পাশাপাশি তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, এবারের লড়াইটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে বাংলায় এখন প্রবল নজর দিতে শুরু করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং বাংলার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে একের পর এক সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বিজেপির পক্ষ থেকে, তাতে এটা কার্যত পরিষ্কার যে, বিজেপির এবার পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গ।

একাংশের মতে, বিজেপি সাংগঠনিক দল। এক্ষেত্রে সংগঠনকে মজবুত করেই তারা পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে ঝাঁপাতে চাইছে। তাই পঞ্চপান্ডবকে দায়িত্ব দিয়ে মুকুল রায় থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষের দ্বন্দ্ব যাতে বৃদ্ধি না পায়, তার জন্য অন্য কৌশল নিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর এই ঘটনা থেকেই বিশেষজ্ঞরা প্রায় নিশ্চিত যে, রাজ্যে আগামী দিনে পরিবর্তন আনতে বিজেপি বাংলার নেতাদের অপেক্ষা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সাফল্য এনে দেওয়া নেতাদের ওপরেই সব থেকে বেশি ভরসা করছে গেরুয়া শিবির।

বাংলার পাঁচটি জোনের দায়িত্ব অন্য রাজ্যের পাঁচ জন নেতার কাঁধে পড়ায় সেই প্রবণতা আরও বাস্তব হল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে এখন এই পঞ্চপান্ডব বাংলায় পরিবর্তন আনতে সফলতা অর্জন করতে পারেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!