এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মুকুল “খেললে” ছিটকে যেতে হবে অনেক হেভিওয়েটকেই? সেই ভয়েই কি মুকুলকে বোতলবন্দীর চেষ্টা?

মুকুল “খেললে” ছিটকে যেতে হবে অনেক হেভিওয়েটকেই? সেই ভয়েই কি মুকুলকে বোতলবন্দীর চেষ্টা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায় বঙ্গ রাজনীতিতে সব সময় ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের থাকার সময় তার মস্তিষ্কের উপর নির্ভর করে শাসকদল বারবার সাফল্য পেয়েছে। তবে সেই মুকুল রায় এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী থাকলেও, এখন তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম হেভিওয়েট নেতা। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর নিজের সুচারু মস্তিষ্ক প্রয়োগ করে তৃণমূলের ঘর ভাঙতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। 18 টি লোকসভা আসন বিজেপিকে পাইয়ে দেওয়ার পেছনে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

কিন্তু এতসব কিছুর পরেও মুকুলকে ব্যাপক সাফল্য পাইয়ে দিলেও, সেভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত তাকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো জায়গা দেওয়া হয়নি। নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে, রাজ্য বিজেপির একটি অংশ মুকুল রায়কে নিয়ে খুব একটা খুশি নয়‌‌। এমনকি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মুকুল রায়ের বিবাদ তৈরি হয়েছে বলেও নানা মহলে শোনা যেতে শুরু করেছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মুকুল রায়ের যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

শোনা যায়, নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ বাংলায় বিজেপি কত আসন পাবে, তার সঠিক তথ্য জেনে নেন এই মুকুল রায়ের কাছ থেকেই‌। তবে এই সমস্ত কিছু মুখের কথায় যে চিড়ে ভিজবে না’ তা জানেন মুকুল রায়ও। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিজেপিতে রয়েছেন ধৈর্য ধরে। তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এখনও তেমন ভাবে তার কোনো পদ নেই। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি মুকুল রায়কে পদ নেওয়া না হয়, তাহলে বিজেপি তাকে কিভাবে ব্যবহার করবে এবং আদৌ ধৈর্য ধরবেন কিনা মুকুল রায়, তা নিয়ে নানা মহলে সংশয় তৈরি হয়েছে।

তবে এই ব্যাপারে অবশ্য অন্য যুক্তি দিচ্ছেন মুকুল রায়ের অনুগামীরা। তাদের বক্তব্য, মুকুল রায় বঙ্গ রাজনীতিতে এমন একজন চরিত্র, যিনি মাঠে নামলে রান উঠবেই। তবে মুকুলবাবু দীর্ঘক্ষন ক্রিজে পড়ে থাকতে পছন্দ করেন। তাই তিনি এখন ক্রিজে পড়ে আছেন। সময় মত ঠিক রান তুলে নেবেন। অনেকে আবার বলছেন, যদি এভাবেই গুরুত্ব না পেয়ে বসে থাকতে হয় মুকুল রায়কে, তাহলে তিনি পৃথক কোনো রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে তুলতে পারেন। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি এই সম্ভাবনায় সীলমোহর পড়ে, তাহলে মুকুল রায় এবং তার সেই নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ বাংলার রাজনৈতিক জগতে বড় আকার ধারণ করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে অপর অংশ আবার বলছেন, মুকুল রায় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি বিজেপিতে আছেন এবং বিজেপিতেই থাকবেন। কিন্তু এবার যে আর চুপ করে বসে থাকবেন না মুকুল রায়, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার অনুগামীদের কথায়। তাদের বক্তব্য, দাদা এবার খেলা ঘোরাতে শুরু করবেন। এতদিন তিনি অনেক সহ্য করে চুপচাপ বসে ছিলেন। কিন্তু এবার আর নীরবতা পালন করবেন না তিনি। আর মুকুল রায় যদি খেলার মাঠে নামেন, তাহলে ঠিক কি হতে পারে, তা এর আগেও বিজেপি দেখে নিয়েছে। কেননা তৃণমূল ছেড়ে যখন মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তখন রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, একটা মুকুল রায় গেলে লক্ষ মুকুল রায় তৈরি হবে।

কিন্তু লক্ষ্য মুকুল রায় তৈরি করা তো দূর অস্ত, বরঞ্চ যে মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন, সেই মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে ব্যাপক ভাঙ্গন লক্ষ্য করা গেছে। লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 42 এ 42 স্লোগান তুলেও থেমে যেতে হয়েছে 22 টি আসনে। স্বাভাবিকভাবেই দলবদল করলেও ব্যক্তি মুকুল রায়ের গুরুত্ব যে কমেনি, তা নিজের মস্তিস্ককে কাজে লাগিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি।

যেন-তেন প্রকারেণ বঙ্গ রাজনীতির মোড় যে তিনি ঘুরিয়ে দিতে পারেন, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে বিজেপি নেতাদের কাছে। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এতদিন মুকুল রায় বিজেপিতে পদ না পেয়ে চুপচাপ থাকলেও এবার তিনি ময়দানে নেমে নিজের অধিকার ছিনিয়ে নেবেন বলেই দাবি করছেন তার অনুগামীরা। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন মুকুল রায়ের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি ঠিক কোনদিকে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!