এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এনআরসি নিয়ে মমতা ব্যানার্জিকে চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ মুকুল রায়ের! ফেলে দিলেন প্রেস্টিজ ফাইটে?

এনআরসি নিয়ে মমতা ব্যানার্জিকে চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ মুকুল রায়ের! ফেলে দিলেন প্রেস্টিজ ফাইটে?


ইতিপূর্বে একাধিকবার নানান ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করতে দেখা গেছে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড নামে পরিচিত মুকুল রায়কে। তবে আজ সংহতি দিবস উপলক্ষে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে এনআরসি বিরোধিতার কথা উঠে আসলে, তাকে ফের কটাক্ষ করেন মুকুল রায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে যে সমস্ত কথা মুকুলবাবু বলেছেন, তাকে কোনোরকম রাজনৈতিক তর্কযুদ্ধ থেকে কম ভাবে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, এদিন সংহতি দিবস মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্রভাবে জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “কোনোভাবেই বাংলায় নাগরিকপঞ্জি করতে দেব না। স্বাধীনতার 72 বছর পর হঠাৎ নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা যায় না।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “এনআরসি আমি মানি না। তৃণমূল আরেকটা স্বাধীনতা আন্দোলন করবে। আপনারা তৈরি থাকুন।” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা মুকুল রায়। বিদ্রূপের সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ওনার যা জ্ঞানের পরিসীমা এনআরসি ও সিএবি কি, সেটা উনি জানেন না।”

এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পিছনে নিজের অবদানের কথা কিছুটা মনে করিয়ে দিয়ে মুকুলবাবু বলেন, “মমতার যোগ্যতা কম। তা রেখেঢেকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলাম।” এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বলতে গিয়ে তার ভূতপূর্ব কিছু ত্রুটিগুলোকেও সামনে তুলে নিয়ে আসেন মুকুলবাবু। তিনি বলেন, “বিধানসভায় রামমোহন রায় সদস্য ছিলেন, গান্ধীকে ফলের রস খাইয়ে রবীন্দ্রনাথ অনশন ভাঙ্গিয়ে ছিলেন, শেলি, কিটসের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের আলোচনার মত কথা তো উনি বলেছিলেন। এনআরসি ও সিএবি কি উনি জানেন না। মমতার স্পষ্ট ধারণা নেই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এলাকার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান জৈনদের নাগরিকত্ব দিতে সংসদে সংশোধনীর অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা। জানা যাচ্ছে, সংসদের এই অধিবেশনেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে যেতে পারে। তবে সংহতি দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “দেশের অর্থনীতি কঠিন অসুখে ভুগছে। সেই দিক থেকে নজর গোড়াতেই এনআরসি এবং নাগরিক সংশোধনী বিলকে হাতিয়ার করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার।”

ইতিমধ্যেই জানা গেছে, আগামী সোমবার দিন লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে সংহতি দিবসের জোরালো আওয়াজ তুললেও এদিন মুকুলবাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, “ওনার ক্ষমতা থাকলে সংসদে দাঁড়িয়ে বিরোধিতা করুন। সেখানে তো লেজ গুটিয়ে বিরোধিতা করে ওয়াক আউট করবেন।”

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, একদা দিদির বিশ্বস্ত সৈনিক এখন তার বিরুদ্ধে যে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, তা মোকাবিলা করা যথেষ্ট চাপের বিষয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে। কারণ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রাজ্যের মতুয়া সমাজের। কাজেই সরাসরি এই বিলের বিরোধিতা করে নিজেদের ছবিতে মতুয়া বিরোধীদলের তকমা লাগাতে চায় না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আবার অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টিকেও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকম পরিস্থিতিতে দেশের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল থেকে শুরু করে এনআরসির বিষয়ে যেমন অনড়, তেমনই এনআরসি বিরোধিতার ক্ষেত্রেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই হুংকার দিয়ে দিয়েছেন। ফলে সমগ্র পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে পৌঁছায়, সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!