এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > বাবুল সুপ্রিয়কে আরও বড় মার্জিনে জেতাতে ঘুঁটি সাজিয়ে ফেললেন মুকুল রায়, রীতিমত চাঙ্গা আসানসোলের গেরুয়া শিবির

বাবুল সুপ্রিয়কে আরও বড় মার্জিনে জেতাতে ঘুঁটি সাজিয়ে ফেললেন মুকুল রায়, রীতিমত চাঙ্গা আসানসোলের গেরুয়া শিবির

২০১৪ সালের দেশজোড়া প্রবল মোদী হাওয়ার প্রভাব সেভাবে বাংলার বুকে পৌঁছায়নি – বিজেপির ভোট অনেকটা বাড়লেও, তা জেতার মত জায়গায় পৌঁছায়নি প্রায় কোথাওই। একমাত্র ব্যতিক্রম – আসানসোল (দার্জিলিং আসনটি বাদ দেওয়া হল, কেননা তার আগেও গোর্খার সমর্থন নিয়ে বিজেপি ওই আসনটি জিতেছিল), যেখানে রাজনীতির ময়দানে তৎকালীন ‘আনকোরা’ বাবুল সুপ্রিয় কামাল দেখিয়ে হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী দোলা সেনকে হারিয়ে দেন।

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হিসাবে পরিচিত বাবুল সুপ্রিয়কে হঠাৎই একদিন বিমানে দেখে বিজেপির হয়ে রাজনীতির ময়দানে নামার আহ্বান জানান বাবা রামদেব। আর বাবুল সুপ্রিয় রাজি হতেই – বঙ্গ বিজেপি তাঁর জন্য ঘরের আসন শ্রীরামপুর ও কঠিন আসন আসানসোল বেছে দেয়। বাবুল সুপ্রিয় বেছে নেন আসানসোল আসনটিই – আর তারপরে আসানসোলের নির্বাচনী প্রচারে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদির সেই বিখ্যাত উক্তি – বাবুলকো মুঝে দিল্লি মে চাহিয়ে! আসানসোলবাসী অক্ষরে অক্ষরে মেনেছিলেন নরেন্দ্র মোদির সেই আহ্বান – হাসতে হাসতেই দিল্লি গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বাবুল সুপ্রিয়র সেই জয়কে কোনোদিনই মান্যতা দেয় নি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সমর্থকদের সবসময়েই দাবি ছিল – বাবুল সুপ্রিয় নাকি জিতেছিলেন শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল বলে। আর পাঁচ বছর বাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে বিজেপির ২২-২৩ টি আসন জেতার দাবি তো দূরের কথা গতবারের জেতা দুই আসন – দার্জিলিং ও আসানসোলেও নাকি হেরে যাবে বিজেপি। কিন্তু, গত পাঁচ বছরে তিনি যা কাজ করেছেন – তার পরিপ্রেক্ষিতে জেতার জন্য যথেষ্ট আশাবাদী বাবুল সুপ্রিয় নিজে।

তার থেকেও বড় কথা, বাবুল সুপ্রিয় এবার পাশে পাচ্ছেন বঙ্গ রাজনীতির অধুনা চানক্য মুকুল রায়কে। আর বাবুল সুপ্রিয়ের মত মুকুলবাবুও ‘কনফিডেন্ট’ যে বাবুল সুপ্রিয় শুধু জিতেছেনই না, তিনি গতবারের চেয়েও বেশি ভোটে জিতবেন। আর এরই প্রস্তুতি হিসাবে, গতকাল ঘাগরবুড়ি মন্দিরে পুজো দিয়ে দলের মঙ্গল কামনা করে মুকুল রায় আসানসোলের একটি বেসরকারি হোটেলে দলীয় কর্মী সম্মেলন শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবেই, এই কর্মী সম্মেলনে কি আলোচনা হয়েছে তা বাইরে আসে নি। তবে, গেরুয়া কর্মীদের বক্তব্য, তৃণমূলের ‘বাঁকা পথগুলি’ আটকাতে কিভাবে ঘুঁটি সাজাতে হবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুকুলবাবু। তিনি নাকি এমনি এমনি বলেননি – গতবারের থেকে মার্জিন বাড়বে, গতকালের কর্মিসভার পর পুরো গেরুয়া ব্রিগেডই নাকি চাঙ্গা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!