এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুকুল-শুভেন্দু ‘বেঁচে গেলেন’ কিভাবে? দলীয় মহারথীরা গ্রেপ্তার হতেই ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল

মুকুল-শুভেন্দু ‘বেঁচে গেলেন’ কিভাবে? দলীয় মহারথীরা গ্রেপ্তার হতেই ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় ছয় বছর আগে একটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছিল। যেখানে নারদা কর্তা ম্যাথু শ্যামওয়য়েলের করা সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, তৃণমূলের অনেক বর্তমান এবং প্রাক্তন নেতারা এমনকি রাজ্যের মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে টাকা নিচ্ছেন। যার মধ্যে ছিলেন শাসকদলের অনেক সাংসদ। কিন্তু এতদিন তা নিয়ে অনেক চর্চা হলেও, সেভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরই গ্রেফতার করা হল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে।

আজ সিবিআই দপ্তরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে খবর। আর এই ঘটনার পরেই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। একসময় তৃণমূলে থাকা মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী এখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তারা দুজনেই বিজেপির বিধায়ক। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধেও সেই সময় ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল।

তাই তারা কেন গ্রেফতার হবে না, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে সিবিআই এবং তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণ এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে শাসক দল। এদিকে তৃণমূলের এই অভিযোগ যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ এবং এর ফলে যে বিজেপি যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়বে, তা বলাই যায়।

বস্তুত, আজ সকালে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে চেতলার বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হকিমকে। অন্যদিকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয় রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর এরপরই রীতিমত নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিজেপির দুই নেতা মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীও এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাহলে তাদের কেন গ্রেফতার নয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, “ক্ষমতা থাকলে সিবিআই আগে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসুন। শুভেন্দু-মুকুলরা বিজেপি কোলে বসে রয়েছে। তাই তারা বাদ।” স্বভাবতই কুণাল ঘোষের এই বক্তব্যের পরে রাজ্য রাজনীতিতে এই প্রশ্ন ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

একাংশ বলছেন, যেভাবে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর মন্ত্রিসভা গঠনের কিছুদিনের মধ্যেই সিবিআই এই পদক্ষেপ নিল, তাতে তাদের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একাংশের মতে, সত্যিই তো তাই! বিজেপির বিধায়ক হলেও শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়কেও তো একসময় সেই ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। তাই আইন যদি সকলের জন্য এক হয়, তবে কেন সেই সমস্ত বিজেপি নেতা গ্রেপ্তার হবেন না!

এখন এই প্রশ্ন তুলে দিয়ে সরব হতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী এবং বিধায়ক গ্রেপ্তার হওয়ার পর তৃণমূলের এই প্রশ্ন সামাল দিতে যে ভারতীয় জনতা পার্টিকে অনেকটাই কাঠ-খড় পোড়াতে হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি শাসকদলের নেতাদের পক্ষ থেকে এই প্রশ্ন যখন উঠেছে, তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!