এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নির্বাচন না হলেও মমতাই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী? শাসকদলের নয়া ফর্মুলায় গুঞ্জন!

নির্বাচন না হলেও মমতাই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী? শাসকদলের নয়া ফর্মুলায় গুঞ্জন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হতে হয় তাকে। তবে পরাজিত হলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। সেদিক থেকে ফলাফল প্রকাশের ছয় মাসের মধ্যে তাকে যে কোনো একটি কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করতে হবে। তা না হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, এটাই নিয়ম। বর্তমান পরিস্থিতিতে আর দুই মাস বাকি আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনে লড়ার সময়ের ক্ষেত্রে। সেদিক থেকে দুই মাসের মধ্যে যদি উপনির্বাচন না হয় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি জিতে আসতে না পারেন, তাহলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, করোনা পরিস্থিতি সহ একাধিক কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপনির্বাচন নাও করতে পারে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এই ব্যাপারে কৌশল প্রয়োগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে রাখতে করোনার কথা তুলে ধরে নির্বাচন যাতে না করা হয়, তার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষের পর তার মুখ্যমন্ত্রী না থাকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরমহলে ব্যাপক আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও বা এতে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক শিবির। এক্ষেত্রে পাল্টা ফর্মুলার কথা বলে সমালোচকদের মহলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। নির্বাচনী লড়াই না করলেও যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি।

আর এখানেই প্রশ্ন, কিভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করা হবে? এদিন এই প্রসঙ্গে এক অন্য যুক্তি দিতে দেখা গেছে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। তিনি বলেন, “বিজেপির কোনো অভিসন্ধিই কাজে আসবে না। উপনির্বাচনের দোহাই দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপসারণ করা সহজ হবে না। নিয়ম মেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। উপনির্বাচন না হলে 6 মাসের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার দুইদিন আগে পদত্যাগ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দুইদিন পরে তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। এছাড়াও রাজ্যে বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তাহলে বিধান পরিষদ যদি ফিরে আসে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর নির্বাচিত হওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, বিধান পরিষদ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। এক্ষেত্রে বিধান পরিষদ লাগু করার ক্ষেত্রে বিস্তর সময় লাগতে পারে। ততদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি নির্বাচনের না লড়েই মুখ্যমন্ত্রী থাকেন, তাহলে তার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রতিবাদ করা হতে পারে। তাই সৌগত রায়ের এই বক্তব্য বাস্তবে কতটা খাটবে, এখন সেটা নিয়েই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে নির্বাচন না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সেক্ষেত্রে বাংলাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনো একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। না হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। তাই সেই ব্যাপারে তৃণমূলের উপর চাপ সৃষ্টি করে করোনা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। যা পরোক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলার কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির পক্ষ থেকে এই কৌশল গ্রহণ করা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল শাসকদলের অন্দরমহলে। কিন্তু অবশেষে এই বিষয়ে যুক্তি দিয়ে নির্বাচনের না লড়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন এবং বিজেপির চক্রান্ত ব্যর্থ হবে বলে দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তবে সৌগতবাবুর এই দাবি কতটা যুক্তি সম্মত, তা সময়ের সাথে সাথেই প্রমাণ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!