এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নতুন করে লড়াইতে নামতে এবার সংগঠন তৈরীতে মনোযোগ বিজেপির, দায়িত্বে ফিরছেন আদি নেতারা

নতুন করে লড়াইতে নামতে এবার সংগঠন তৈরীতে মনোযোগ বিজেপির, দায়িত্বে ফিরছেন আদি নেতারা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কার্যত গেরুয়া শিবির ভরে উঠেছিল দলবদলকারী নেতাদের ভিড়ে। রাতারাতি তৃণমূল শিবিরে ধ্বস নামিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেকেই। আবার প্রার্থী তালিকা নিয়ে খুশি না হওয়ায় তৃণমূল থেকে সেসময় চলে এসেছিলেন বিজেপিতে অনেক নেতা নেত্রী।

অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের দরজাও সে সময় সবার জন্য খুলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের শেষ ফলাফল বেরোতে যখন দেখা গেল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বড় হার হয়েছে, ঠিক তখনই নিজেদের ভুল পাল্টাতে শুরু করেছেন দলবদলকারী নেতারা।

এই অবস্থায় বাংলায় বিজেপির দুর্বল পরিস্থিতিকে ঠিক করার জন্য সাংগঠনিক জোর বাড়ানো জরুরি বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, তৃণমূল থেকে এমন অনেক নেতারাও বিজেপিতে এসেছেন যারা দলকে ভালোবেসে ফেলেছেন। হেরে গেলেও তাঁরা দল ছাড়তে রাজি নন। আর এবার সেইসব নেতাদেরকেই বেছে বেছে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভিত মজবুত না হলে যে লড়াই অসম্ভব হবে সে কথা এখন ভালভাবেই বুঝতে পারছে বিজেপি নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই এবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দক্ষ সংগঠক এবং আদি বিজেপি কর্মীদের উপরেই ভরসা রাখা হচ্ছে। দলে তাঁদেরকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সাথে জনসংযোগ তৈরীর ক্ষেত্রে এবার জোর দেওয়া হবে। যার মধ্যে জনসেবামূলক কাজকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে বাংলায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য জনসংযোগ অন্যতম হাতিয়ার বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির।

আর সেক্ষেত্রে জনমানসের কাছাকাছি থাকা নেতাদের হাতে ক্ষমতা দিতে চাইছে শীর্ষ নেতৃত্ব। একুশের ভোটে যেমন বাংলায় আদিবাসীরা এবং কূর্মী সম্প্রদায়ের মানুষেরা  মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন বিজেপি থেকে, আবার সেভাবেই বাউরি সম্প্রদায়ের মানুষেরা দুহাত ভরে ভোট দিয়েছেন বিজেপিকে।

খুব স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে সাংগঠনিক জোর সাফল্য পেয়েছে। পাশাপাশি জনপ্রিয় নেতারা এক্ষেত্রে এগিয়ে গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই মুহূর্তে পরিষ্কার সংগঠন শক্তিশালী হলে এবং দক্ষ সংগঠক থাকলে দলে সাফল্য পাওয়া কোন বড় ব্যাপার নয়।

পাশাপাশি মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। আপাতত কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব লড়াইতে ফেরার জন্য নতুন করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আরো একবার লড়াইতে নামতে যাবতীয় অস্ত্র মজুদ চলছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!