এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > একের পর এক করোনা সংক্রমনে তটস্থ নবান্ন! সরানো হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর? বাড়ছে জল্পনা

একের পর এক করোনা সংক্রমনে তটস্থ নবান্ন! সরানো হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে করোনার থাবা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্ত প্রায় ৯০০০০ জন, ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২০০০ জনের। রাজধানী কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া জেলার করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সূত্রানুযায়ী, এবার করোনার গ্রাসে পড়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ১৪ তলার নবান্ন। নবান্নে একের পর এক আধিকারিক, পুলিশ আধিকারিক, হাউসকিপিং কর্মী, ড্রাইভার ক্রমাগত করোনার শিকার হয়েই চলেছেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন কাজ নিয়ে নবান্নে আসা ব্যক্তিরাই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যাপক আকারে। সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় নবান্নের একতলার একটি প্রেস কর্নারে সাংবাদিকদের থাকবার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা মুক্ত রাখতে নবান্নের স্বাভাবিক কাজকর্মকে বারবার বন্ধ রেখে কখনো সারাদিন ধরে, কখনো বা পরপর দুদিন ধরে চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ। কিন্তু রাজ্যের এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে সচিবালয় বন্ধ করে রাখাও অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তাই এই অবস্থায় একটা বিরাট সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের করোনার মোকাবিলা, সেইসঙ্গে প্রশাসনিক কাজসমূহ অব্যাহত রাখতে নবান্ন এর অতি নিকটেই অবস্থিত অ্যানেক্স ভবন ‘উপান্ন’ য় সাময়িক ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর স্থানান্তরের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, রাজ্যের সচিবালয় রূপে নবান্ন গত ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর থেকে তার পথচলা শুরু করেছিল। এই ভবন থেকেই গত ২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকার্য চালিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নবান্নে কিছুটা স্থানাভাব দেখা দেওয়ায় নবান্ন সংলগ্ন স্থানে একটি অ্যানেক্স বিল্ডিং নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দেয়। আর সেকারণেই নির্মাণ হয় এই উপান্নের। গত ২২ সে জুলাই তিনতলা বিশিষ্ট অ্যানেক্স ভবন ‘উপান্ন’ এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেসময়ে জানানো হয়েছিল, মুখ্যসচিব, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের (সিএমও) সহ বেশ কিছু আধিকারিকদের দপ্তর রাখা হবে এই ভবনে। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এই ভবন থেকেই প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ভবনটিকে আবার নতুন করে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে, এমনটাই সংবাদ সূত্রে জানা গেছে। পূর্তদপ্তর জানিয়েছিল, উপান্ন ভবনটিকে কিছু আধিকারিকের দপ্তর ও অতিথিশালা রূপেই নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি এই মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর করার সিদ্ধান্ত নেবার হলে এটিকে রূপান্তরের কাজ শুরু করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, সমস্ত কাজ মিটে গেলে চলতি মাসের শেষদিকে থেকে কিংবা আগামী মাসের শুরুর দিক থেকে এখানে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর স্থানান্তর করা সম্ভবপর হবে। প্রসঙ্গত, এরমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিযুক্ত স্পেশাল সিকিউরিটি উইংয়ের আধিকারিকরা এই ভবনটি পরিদর্শন করে গেছেন। করোনা সংগমন এড়াতে বিশেজ্ঞদের পরামর্শ মেনে স্থির করা হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন করোনা পরিস্থিতিতে কর্মরত আধিকারিকেরা ছাড়া অন্য কেউ এই সময়ে এই ভবনে প্রবেশ করতে পারবেন না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!