এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পঞ্চায়েতে জয়ী সিপিএম প্রার্থীদের ‘আশ্রয়’ দিচ্ছে বিজেপি, বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের

পঞ্চায়েতে জয়ী সিপিএম প্রার্থীদের ‘আশ্রয়’ দিচ্ছে বিজেপি, বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের


দলীয় অস্বস্তি বাড়িয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিলেন আমডাঙ্গার জয়ী সিপিএম সদস্যরা বিজেপির আশ্রয়েই রয়েছে। তবে আমডাঙ্গা কান্ডের মূল অভিযুক্ত জাকির ভল্লুকও বিজেপির আশ্রয়ে আছেন কিনা সে ব্যাপারে সরাসরি কিছু জানাতে চাইলেন না তিনি। বললেন,’জাকির ভল্লুক যেখানে ছিল সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।’

সিপিএম এর জয়ী সদস্যরা বিজেপিতে আশ্রয় নিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে সিপিএম এবং বিজেপি একজোট হয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে কিনা সে ব্যাপারেও মন্তব্য করতে আপত্তি ছিল দিলীপবাবুর। উল্লেখ্য,গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমডাঙ্গার মাধবপুর বাজারের পথসভা থেকে বিজেপিকে ‘অসাম্প্রদায়িক দল’ বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। এই মন্তব্যের সপ্তাহ খানেক কাটতে না কাটতেই বামেরা আশ্রয় নিয়েছে বিজেপিতে-এই খবর সামনে এল। এর জেরে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে বামফ্রন্ট।

এদিকে এটাকেই ইস্যু করে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবী করলেন, বিজেপি এবং সিপিএম-এর গোপনে সখ্যতা ছিল। এটা প্রমাণ করে দিলেন খোদ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষ। তবে দিলীপ বাবুর বক্তব্যকে একেবারেই ভিত্তিহীন বলে দাবী করলেন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী।

এবারের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমডাঙ্গার তারাবেড়িয়া,বোদাই এবং মরিচা এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো রাজনৈতিক দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলত কোনো দল পঞ্চায়েতে বোর্ডগঠন করবে তা নিয়ে রেষারেষি ছিল যুযুধান গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে। গত ২৯ আগষ্ট এই তিনটি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন থাকলেও আগের রাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে তৃণমূলের তিনজন এবং সিপিএমের একজন খুন হন। প্রায় তিন ঘন্টা বোমা এবং গুলির বৃষ্টিপাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় পঞ্চায়েতের অধীনস্ত বইছগাছি গ্রামে। এরকম পরিস্থিতি দেখে বোর্ড গঠন স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। এই গন্ডোগোলেরই মূল অভিযুক্ত ছিলেন বইছগাছি গ্রামের সিপিএম নেতা জাকির ভল্লুক। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে জাকির কোলকাতার একটি পার্টি অফিসে গা ঢাকা দিয়েছে। তারপর দিল্লি হয়ে আজমির শরিফে ঘাঁটি গাড়েন।

এদিন বারাসাতে এমপি-এমএলএ স্পেশাল কোর্টে এসেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়,লকেট চট্টোপাধ্যায় ও শমীক ভট্টাচার্য প্রমুখ বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। রাজ্য পার্টি অফিসে জাকির হোসেনকে আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ বাবুকে জিজ্ঞাসা  করা হলে কড়া ভাষায় পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি বলেন,জাকির বিজেপির পার্টি অফিসে থাকলে পুলিশ এতোদিনে তাকে উদ্ধার করতে পারেনি কেন? সঙ্গে কটাক্ষ করে আরো জানান,বিজেপি একে-৪৭ রাখে না। যদি রাখতো তাহলে রাজ্যের ছবিটা অন্যরকম হতো। জাকির প্রসঙ্গে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন,জাকির নাকি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতেই ছিল। সঙ্গে চাঁচাছোলা বক্তব্যে জানান,অনুব্রত বাবুর মতো জ্যোতিপ্রিয় বাবুর বাড়িতেও বোমা তৈরীর কারখান রয়েছে। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, তৃণমূল পার্টি অফিস ভালো করে তল্লাশি করলে বোমা, বন্দুক অবশ্যই মিলবে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এসব মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জ্যোতিপ্রিয় বাবু পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন,দিলীপ বাবুর মন্তব্যই জোকারের মতো।  তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে সময়ে এর যোগ্য জবাব দেবেন। আমডাঙ্গার পঞ্চায়েত বোর্ড তৃণমূলই গঠন করবে,এমনটাই হুঁসিয়ারী দিলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!