এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতের মধ্যেই নতুন করে ফের রাজ্যপাল রাজ্যের সংঘাত শুরু, জানুন বিস্তারিত

কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতের মধ্যেই নতুন করে ফের রাজ্যপাল রাজ্যের সংঘাত শুরু, জানুন বিস্তারিত


করোণা পরিস্থিতিতে এখন রাজ্যে সব থেকে বড় বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রেশনে দুর্নীতি। বিরোধীদের পক্ষ থেকে লাগাতার অভিযোগ করা হচ্ছে যে, রেশনে শাসক দল ব্যাপক দুর্নীতি করছে। আর এই ঘটনার পরেই রাজ্যপালের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে জবাব চাওয়া হয়। যা নিয়ে শোরগোল তৈরি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রশাসনিক বনাম সংবিধানিক ক্ষেত্রের মধ্যে দ্বৈরথের আশঙ্কা করেন সকলেই।

আর এবার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং রেশন বিলি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা চেয়ে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় বসার জন্য চিঠি পাঠালেও মুখ্যমন্ত্রী আদৌ রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কিনা, এখন এই প্রশ্নই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের কাছে।

তবে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল করোনার মত ভয়াবহ ইস্যুতে ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতেই পারেন এবং এটা তার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে বলেই মনে করছে একাংশ। তবে যদি রাজ্য সরকার এর বিরোধিতা করে, তাহলে লাভের লাভ কিছুই হবে না। উল্টে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দুই প্রধানের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়বে এবং তার ফলে বিপদজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছে যাবে রাজ্য বলে একাংশের।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই রেশন নিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যান যোজনার চাল রাজ্যকে দিতে তৈরি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসা নিয়েও এদিন মুখ খোলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “সাংবিধানিক রীতিনীতির প্রতি ধারাবাহিক উপেক্ষা মেনে নেওয়া যায় না। কোনো পরিস্থিতিতেই কেউ নিজেই এই আইন হয়ে উঠতে পারে না।” অর্থাৎ তার এই মন্তব্যের মধ্য দিয়েই পরিষ্কার যে, রাজ্য সরকার যদি একতরফাভাবে কোনো কিছু চালায়, তাহলে তা যে তিনি মেনে নেবেন না, তা আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশের পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

এদিকে রাজ্যপালের এই আলোচনায় বসা নিয়ে পাল্টা মন্তব্য করেছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি বলেন, “আমরা গোটা সরকার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে লড়াই চালাচ্ছি। আলাদা করে খাদ্য দপ্তর কিছু করছে না। তবে রাজ্যপাল চাইলে নিশ্চয়ই কথা বলতে পারি।”

অন্যদিকে কেন্দ্রের দেওয়া খাদ্যশস্যের কথা তুলে ধরেও এদিন পরোক্ষে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে চাল-ডালের কথা বলা হচ্ছে, বিজেপি নেতারা খোঁজ নিয়ে দেখুন তার পরিমাণ কি! রাজ্যে সংশ্লিষ্ট মানুষকে দেওয়ার জন্য 9 লক্ষ মেট্রিক টন চালের প্রয়োজন। কেন্দ্র দিয়েছে 45 হাজার মেট্রিকটন। ডালও অনেক কম দিয়েছে। তবে রাজ্যবাসীকে আমরা আমাদের সাধ্যমত খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছি।”

সব মিলিয়ে এখন রেশন নিয়ে করোনা ভয়াবহতার পরিস্থিতির মধ্যে অবস্থা যে ক্রমশ জটিল আকার নিচ্ছে এবং তা যে সাংবিধানিক বনাম প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে তরজা সৃষ্টি করবে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!