এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > প্রহসনের পঞ্চায়েত, চরম বিপদে রাজীব সিনহা! আদালতের নির্দেশে খুশি বিরোধীরা!

প্রহসনের পঞ্চায়েত, চরম বিপদে রাজীব সিনহা! আদালতের নির্দেশে খুশি বিরোধীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যে কিভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে, কিভাবে গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে, তা সকলেই দেখেছেন। বিরোধীরা এই নিয়ে বিভিন্ন মামলা করেছে আদালতে। কিন্তু আদালতের পক্ষ থেকে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হলেও, নির্বাচন কমিশন অবশ্য তৃণমূলের হয়েই কাজ করেছে। এই অভিযোগ তুলতেও দেখা গিয়েছে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের। তবে একের পর এক মামলা এই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আদালতে হলেও, শেষ পর্যন্ত তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের এতদিন পর এসে সেই মামলার উত্থাপন হবে এবং তাতে চরম বিপাকে পড়বে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন, এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। তবে সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ এবং প্রশাসনের মত চলে না। আদালতের নিয়মে কেউ ছাড় পাবে না। তাই এবার সেই নিয়মের বেড়াজালে পড়েই বড়সড় বিপদের মুখে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।

সূত্রের খবর, এদিন শুভেন্দু অধিকারীর করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বড় নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যেখানে বিচারপতি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, আদালতের নির্দেশ অবমাননা করা হয়েছে। তাই এই ব্যাপারে আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে। এক্ষেত্রে আগামী মাসের 24 তারিখ পরবর্তী শুনানির দিন নির্বাচন কমিশনারকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একাংশের মতে, রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভেবে নিয়েছিল যে, পঞ্চায়েত নির্বাচন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও যখন আদালতের পক্ষ থেকে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তখন আর কিছুই হবে না। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে যে তাকে শাস্তি পেতেই হবে, তা এদিন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ এবং নির্দেশেই আরও একবার স্পষ্ট। যার ফলে বিরোধীরা বলছেন, এবার আদালতে হাজিরা দিয়ে কেন পঞ্চায়েতে এত অশান্তি হয়েছে, কেন আদালতের নির্দেশ কমিশন অমান্য করেছে, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে। তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রীতদাস হয়ে কাজ করবেন। তবে এবার তাকে তার কুকর্মের ফল পেতে হবে বলেই দাবি করছে সমালোচক মহল ।

বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্ত ঝরেছে। বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে বিরোধী দলের নেতা, কর্মীদের। কিন্তু সেই নির্বাচনের সময় এবং তার আগে বারবার কমিশনের কাছে বিভিন্ন আবেদন জানানো হলেও, তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। বরঞ্চ শাসক দলের পৃষ্ঠপোষক হিসেবেই কাজ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ছিল না। ফলে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। এবার তার ফল পেতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণাতেই নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছিল, এই রাজ্য অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে না। একদিনে সমস্ত জায়গায় নির্বাচন সংগঠিত করিয়ে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হয়েছিল। বারবার আদালতে তা নিয়ে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। কমিশন ভেবেছিল, চালাকি করেই তারা পার পেয়ে যাবে। তাদের আর আদালত কিছু বলবে না। কিন্তু আদালতের বিচার পদ্ধতিতে যেভাবে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ পেলেন নির্বাচন কমিশনার, তাতে তার বিপদ আসন্ন। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার জন্য আগামী দিনে তাকে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!