এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ইডির খেলা শুরু, আদালতে স্বস্তি পেল কেন্দ্রীয় সংস্থা ! পুজোর আগেই কি বড় পদক্ষেপ? তুঙ্গে জল্পনা!

ইডির খেলা শুরু, আদালতে স্বস্তি পেল কেন্দ্রীয় সংস্থা ! পুজোর আগেই কি বড় পদক্ষেপ? তুঙ্গে জল্পনা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত অনেকদিন ধরেই চলছে। কিন্তু তেমনভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে, ঠিক তেমনই আদালতের পক্ষ থেকেও সেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কিছুদিন আগে ভর্ৎসনা করা হয়েছিল। বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন। যার ফলে ইডি কিছুটা চাপেই পড়ে গিয়েছিল। কিভাবে এবার তারা তদন্ত প্রক্রিয়া চালাবে, নতুন কোনো অফিসারকে যদি নিয়ে আসা হয়, তাহলে তাদেরকে বোঝাতে বোঝাতেই তো অনেকটা সময় চলে যাবে। ফলে কিভাবে তদন্ত চলবে, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল সকলের মধ্যেই। তবে অবশেষে আবার আদালতে এই ব্যাপারে আবেদন করার পর স্বস্তি পেল ইডি। এদিন নিজের দেওয়া নির্দেশ কিছুটা সংশোধন করে নেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি জানিয়ে দেন যে, মিথিলেশ মিশ্রই তদন্ত করবেন। কিন্তু ইডিকে তো আদালত সন্তুষ্ট করলো। কিন্তু এবার ইডি সাধারন মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারবে তো? তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। যার ফলে কিছুটা ব্যাকফুটে পড়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারা আবার আদালতের কাছে যায় এবং আবেদন করে যে, আদালতের এই নির্দেশ যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। অবশেষে সমস্ত দিক দেখে বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবার সেই নির্দেশ বিবেচনা করেন। আজ তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, আগের নির্দেশ তুলে নিচ্ছেন। কলকাতায় সমস্ত নিয়োগ দুর্নীতির যে সমস্ত মামলা রয়েছে, তার তদন্ত করবেন সেই মিথিলেশ কুমার মিশ্র। অনেকে বলছেন, বিচারপতি সবদিক বুঝেই এই নির্দেশকে কিছুটা বদল করেছেন। কারণ তিনিও জানেন, এখন যদি নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাহলে তদন্তের আরও দেরি হয়ে যাবে। তাই যিনি এতদিন সমস্ত দিক বুঝে তদন্ত করছিলেন, তাকেই দায়িত্ব দিয়ে গোটা গতি প্রকৃতির উপর নজর রাখতে চেয়েছে আদালত। তবে বিচারপতির এই নির্দেশের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ।

অনেকে বলছেন, আদালত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কথা শুনেছে। কিন্তু আদালত যেটা চাইছে যে, তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে, এবার সেই দিকে মনোযোগী হতে হবে ইডিকে। মিথিলেশ কুমার মিশ্রকেই দায়িত্বে রাখা হয়েছে। ফলে এবার এমন ভাবে ঝাপাতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে, যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের নিয়ে বিশ্বাস তৈরি হয়। ডাকাডাকি, তল্লাশি, জেরা করা, এখন অতীত। যারা দোষ করেছে, যারা মানুষের টাকা চুরি করেছে, যারা অপরাধী, তাদের এবার ঘাড় ধরে ভেতরে ঢোকানোর পালা শুরু হোক। আদালত সেটাই চাইছেন। কারণ চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে চোখের জল ফেলছেন, তাই কেউ টাকা নিয়ে আনন্দে রাত্রিবেলা ঘুমোবেন, আর কেউ রাস্তায় বসে চোখের জল ফেলবেন, এটা হতে পারে না। তাই তদন্ত যাতে ঠিক মতো চলে, তার জন্য সব দিক বুঝেই জাস্টিস সিনহা যা করলেন, সেটাকে তাৎপর্যপূর্ণ এবং ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ যদি বহাল রাখতেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা, তাহলে আবার আদালতের কাছে ইডি বাহানা তুলে ধরতে পারতো যে, তদন্তের আধিকারিক বদল হয়েছে। তাই সময় লাগছে তদন্ত করতে। কিন্তু এবার আর সেই কথা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বলতে পারবে না। যার কারণে জাস্টিস সিনহাও তারা যাতে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন কোনো অজুহাত দিতে না পারে, তার রাস্তাটা বন্ধ করে দিলেন। এবার আদালত দেখতে চায় যে, মিথিলেশ কুমার মিশ্রের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে কতটা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ফলে আদালতকে হতাশ না করে, পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষকে হতাশ না করে এবার পুজোর আগেই এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে, যাতে সকলের মনেই আস্থা তৈরি হয় ইডিকে নিয়ে। কিন্তু তারা কবে একটা জমকালো কড়া পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!