এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়ে একযোগে বড়সড় পদক্ষেপ রাজীব-প্রবীরের! তীব্র অস্বস্তি শাসকদলে

মমতার বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়ে একযোগে বড়সড় পদক্ষেপ রাজীব-প্রবীরের! তীব্র অস্বস্তি শাসকদলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই তারা বেসুরো মন্তব্য করে চলেছেন। একজন মন্ত্রী থাকলেও সম্প্রতি মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর একজন দলের কোর কমিটির সদস্য এবং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলের সঙ্গে দূরত্বকে তীব্র করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তারা দুজনেই তৃণমূলের বিধায়ক। তবে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে বুধবার বিধানসভা অধিবেশন শুরু হলেও সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের বনমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই তার দল ছাড়ার জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে শুরু করে। তবে এখনও পর্যন্ত ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক তিনি। আর এর মাঝেই হঠাৎ করে মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা যায় উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে। পাশাপাশি দলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেন তিনি। আর এরপরই সেই প্রবীরবাবুকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শোকজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

স্বাভাবিকভাবেই এই দুই তৃণমূল বিধায়ক এবার বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয় শাসকদলের অন্দরমহলে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে বিধানসভার অধিবেশন দুই তৃণমূল বিধায়কের অনুপস্থিতি ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। একাংশ বলছেন, তাহলে কি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রবীর ঘোষাল তাদের পরবর্তী রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন? আর তাই বিধানসভার অধিবেশন অনুপস্থিত থেকে সেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন তারা?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, এর আগে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে একাধিকবার প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি মন্ত্রিসভার বৈঠক হলেও সেখানে অধুপস্থিত থাকতে দেখা যায় তাকে। শুধু তাই নয়, মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর এই পরিস্থিতিতে এবার তাহলে কি বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে চলেছেন তারা? তাই তার আগে বিধানসভার অধিবেশন অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল প্রবীর ঘোষাল এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে?

এখন সেই প্রশ্ন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী গোটা রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার আগে বিধায়ক পদ পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছিলেন। আর করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হলেও সেখানে সমস্ত বিধায়ক উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হয়েছিল। সেদিক থেকে বেসুরো মন্তব্য করা তৃনমূলের এই দুই হেভিওয়েট বিধায়কের অধিবেশন কক্ষে অনুপস্থিতি যে নতুন সমীকরণের সৃষ্টি করতে চলেছে রাজ্য রাজনীতিতে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!