এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য পুরনির্বাচনের নির্ঘন্টের বদল আনতে মরিয়া চেষ্টা বিজেপির

রাজ্য পুরনির্বাচনের নির্ঘন্টের বদল আনতে মরিয়া চেষ্টা বিজেপির


রাজ্যে পুরভোটের নির্ঘণ্টও এখনো ঘোষণাই হয়নি। কিন্তু এপ্রিলের মাঝামাঝি ভোট হতে পারে বলে জোর গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। আর এই ভোটের নির্ঘণ্ট নিয়েই যত আপত্তি বিজেপির। ইতিমধ্যে তাঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আপত্তি জানিয়ে এসেছে। তাঁদের দাবি, কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক। বিজেপি যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছে, সরকারের পরিকল্পনামাফিক যদি ওই সময় নির্বাচন হয় তাহলে হাতে প্রচার এর জন্য খুব কম সময় পাওয়া যাবে। কেননা ওই সময় রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক সহ অন্যান্য পরীক্ষা থাকবে। তাই ভোট পেছানোর দাবি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতারা নির্বাচন কমিশনে যান। কিন্তু এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বিজেপি দলের অন্দরেই দ্বিমত দেখা গেছে।

পুরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে দ্বিমত দেখা গেছে। একপক্ষ চাইছেন, পুরভোটের দিনক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা একতরফা মেনে নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে। অন্যপক্ষ অবশ্য চাইছে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে এই চ্যালেঞ্জকে যোগ্য জবাব দিতে। তবে পুরসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপির অন্দরে সৃষ্টি হওয়া দ্বিধা নিয়ে ইতিমধ্যে জওর শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যে তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, আগামী 12 ই এপ্রিল তাঁরা কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার নির্বাচনের দিন ঠিক করেছে। অবশ্য এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন তাঁদের সিদ্ধান্ত জানায়নি। অন্যদিকে, বিজেপির তরফ থেকেও এই তারিখ নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল ইতিমধ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ডেকে পাঠিয়েছেন।

পরিস্থিতিকে ঘোরালো করে ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপি দ্বিধা-বিভক্ত। বিজেপির একপক্ষ তৃণমূলের বিরোধীতা করে তাঁদেরকে আদালতে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে। দেখা গেছে কিছুদিন আগেও বিজেপি নেতারা জোর গলায় দাবি করেছিলেন পুরভোটের সময় নিয়ে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। যেকোনো সময়ই হোক না কেন নির্বাচন, তাঁরা প্রস্তুত থাকবেন। কিন্তু যেই মুহুর্তে 12 ই এপ্রিল কলকাতা হাওড়া পুরসভা ভোটের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, তখন থেকেই তাঁদের মধ্যেও শোরগোল শুরু হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের অন্য একটি পক্ষ বলছেন, লোকসভা নির্বাচনে 18 টি আসন জেতার পর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই নির্দিষ্ট তারিখে লড়াইয়ে নেমে সোজাসুজি তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়াই হবে আসল জবাব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন অবশ্য মুকুল রায় সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ ঘোষণার পর থেকে প্রচারের জন্য 24 দিন সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে এবার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সহ বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা গুলি শেষ হচ্ছে 30 শে মার্চ। তাই যদি 12 ই এপ্রিল নির্বাচন হয়, তাহলে পরীক্ষা চলাকালীন যেমন কোনো প্রচার করা যাবে না তেমনি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেও প্রচারের জন্য বিশেষ সময় পাওয়া যাবেনা। সুতরাং পুরো ব্যাপারটাই পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজনৈতিক দলের জন্যই ঘেঁটে থাকবে বলে দাবি করেছেন মুকুল রায় সহ রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে, এদিন বিজেপি সূত্রে জানা গেছে আগামী পয়লা মার্চ অমিত শাহ কলকাতায় আসছেন জনসভা করতে। সেই সময় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এই সমস্যা নিয়ে তাঁর সাথে জরুরী ভিত্তিতে আলোচনা করবেন। দাবি, একমাত্র অমিত শাহই এই সমস্যা থেকে বার করতে পারবেন।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে রাজ্য বিজেপি এগিয়ে থাকলেও লোকসভা ভোটের হিসেব সবসময় পুরসভা নির্বাচনে খাটেনা। উপরন্তু, সাম্প্রতিককালে নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে বিজেপি যথেষ্টই কোণঠাসা। এদিকে বিজেপি শিবিরের কেউ কেউ ঐদিনে নির্বাচন হলে হেরে যাবার সম্ভাবনাকেই প্রকট হতে দেখছেন। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যখন পুরভোটের রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত তখন বিজেপি ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কৌশল তৈরি করতে মাথা খাটাচ্ছে। আপাতত পুরো ব্যাপারটি নির্বাচন কমিশনের হাতে। নির্বাচনী আধিকারিক যে দিন ঠিক করে দেবেন, পুরনির্বাচন সেই দিনেই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!