এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের অঙ্গীকার করতেই রাজ্যপালকে তুলোধোনা রাজ্যের হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রীর!

সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের অঙ্গীকার করতেই রাজ্যপালকে তুলোধোনা রাজ্যের হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রীর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের যে মনোমালিন্য, তার আঁচ ইতিমধ্যেই বাংলার প্রায় ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। তবে বর্তমানে তাঁকে সতর্ক করতে বলে একাধিক রাজ্যের নেতা মন্ত্রীকে বার্তা দিতে শোনা গিয়েছিল। তবে সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল তাতে কর্ণপাত করেছেন কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এমন পরিস্থিতিতে আবারো রাজ্যের রাজ্যপালকে সতর্ক হওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল রাজ্যেরই এক মন্ত্রীকে। বস্তুত, বৃহস্পতিবার সকালে একদিনের সফরে সস্ত্রীক কোচবিহার গেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেখানে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করার পর মদনমোহন মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। সেইসঙ্গে কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ীও ঘুরে দেখেন তিনি।

আর সেখান থেকেই কোচবিহার সার্কিট হাউসে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সরকারি কর্মীদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের ল অ্যান্ড অর্ডার নিয়েও রাজ্যের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করতে থাকেন। তাঁর কথায়, এই মুহূর্তে গোটা দেশের কাছে পশ্চিমবঙ্গের পরিচিতি রাজনৈতিক হিংসার পীঠস্থান হিসাবে উঠে এসেছে বলেও জানান তিনি।

সেইসঙ্গে তিনি আগামী নির্বাচন সুষ্ঠভাবে হবে বলেও জানান। আর রাজ্যপালের সাংবাদিক বৈঠকের পরই তাঁর বক্তব্যের জবাব দিতে তাঁকে সংযত হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা যথেষ্ট ভালো। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাটের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর যদি নজর দেওয়াটাই লক্ষ্য হয়, তবে সেদিকেই রাজ্যপালকে নজর দেওয়ার কথা বলতে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর কথায়, “সরকারি কর্মচারীর এরাজ্যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন।” তবে রাজ্যপাল যে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন, দলনেতা হয়ে কাজ করছেন, সেই কটাক্ষ করেন তিনি। তাই রাজ্যপালকে সংযত হওয়ার হুঁশিয়ারিই দিতে দেখা গেছে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে।

বস্তুত রাজ্যপাল পদের গরিমা, তার দায়িত্ব পালনেরও অনুরোধ জানান তিনি। তবে এরই মধ্যে তিনি রাজ্যপালকে কোচবিহারে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, তিনি মদনমোহনের কাছে প্রার্থনা করছেন যাতে মহামান্য রাজ্যপালের শুভবুদ্ধির উদয় হয়। সেইসঙ্গে “বাংলার মানুষ ভালো আছে। বাংলার মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো আছেন। বাংলার মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুস্থ আছেন, এবং রাজ্য সুস্থ আছে” একথাও জানান তিনি।

তাই বাংলায় “খুব শান্তিতে” থাকা মানুষকে নিয়ে রাজ্যপালকে রাজনীতি করতে বারণ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “রাজনীতি করতে হলে অন্য রাজ্যে যান।” অন্য রাজ্যের দুরবস্থা দেখার কথা উল্লেখ করে তিনি রাজ্যপালকে হাথরসের ঘটনায় প্রতিবাদ করার কথাও বলেন। সেইসঙ্গে অন্যকে দোষ দেওয়ার আগে নিজের দোষ শোধরানোর বার্তাও দেন তিনি। তবে রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর এহেন কটাক্ষের জবাব কিভাবে দেন, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!