রাজ্যে একের পর এক বিজেপি কর্মী হত্যার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিজেপি সাংসদ মেদিনীপুর রাজ্য November 17, 2019 লোকসভা ভোটের পরবর্তী কাল থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসা ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী। বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ফলে চূড়ান্ত অশান্তি ছড়িয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলেও এ ধরনের রাজনৈতিক হিংসাকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনায় চূড়ান্ত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি রাজনৈতিক হিংসার ফলে প্রাণ গেছে আরও একজনের। দাঁতনের সন্তোষপুর এলাকায় তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষের ফলে প্রাণ গেছে এক বিজেপি কর্মীর। এই নিয়ে রাজ্যের বিজেপি মহল থেকে তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। এবার সেই ঘটনার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ব্যারাকপুরে সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী একের পর এক বিজেপি নেতা, কর্মীকে খুন করছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই এই হত্যালীলা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। বারবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বিজেপি কর্মীর হত্যার ঘটনায় সরব হয়েছেন। এদিন আবারও এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আরেকবার অভিযোগের আঙুল তুলল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূল রাজকে ‘ইসলামিক রাজে’র সঙ্গে তুলনা করেছেন। এই হত্যার ঘটনাকে সামনে এনে একটি ছবি টুইট করে অর্জুন সিং লিখেছেন, ‘বর্ষা হাঁসদা, পশ্চিম মেদিনীপুরের আদিবাসী বিজেপি নেতাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। এই বিষয়ে এখন চুপ কেন তৃণমূল? বুদ্ধিজীবীরাও চুপ কেন? বিজেপি শাসিত রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটলে চুপ থাকতে পারতেন?’ শুধু তাই নয়, তিনি আরো লেখেন, ‘তৃণমূল আর জংগী সংগঠন আইসিস এর মধ্যে ফারাক কোথায়? এইভাবে কি 2021 বিধানসভা নির্বাচন হবে? নিরাপরাধ মানুষকে খুন করে? জবাব দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ অন্যদিকে এই হত্যার ঘটনায় তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘তৃণমূল বাংলায় ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে বিজেপিকে রুখতে চাইছে। জঙ্গলমহলে আমাদের এক কর্মীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হল। ওই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিল।’যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিজেপির অভিযোগ নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বিজেপির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।তিনি বর্ষা হাঁসদার মৃত্যুকে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই পুরুলিয়াতেও বিজেপির 3 জন কর্মীর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। গত বছরের পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই জঙ্গলমহল বারংবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, বিজেপি তৃণমূলের সংঘর্ষ রাজ্যে এতটাই বেড়ে গেছে, যে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল ক্রমশঃ চিন্তিত হয়ে উঠেছে।সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজনৈতিক সংঘর্ষের ফলে একের পর এক প্রাণ যায় মানুষের। সে ক্ষেত্রে সমস্ত রাজনৈতিক দলের এব্যাপারে ভাবা উচিত। রাজনৈতিক দলের অনেক ঊর্ধ্বে যে মানুষের প্রাণ তা আজ সবকটি রাজনৈতিক দলই ভুলতে বসেছে। এ ব্যাপারে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা। এখনো পর্যন্ত দাঁতনের হত্যার ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করে উঠতে পারেনি। তবে তদন্ত চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি আয়ত্তে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। আপনার মতামত জানান -