এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রামঝড়ে কি টলমল রাজ্যপাট? দলের লাইন উড়িয়ে রামপুজোতে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাও, উঠছে প্রশ্ন!

রামঝড়ে কি টলমল রাজ্যপাট? দলের লাইন উড়িয়ে রামপুজোতে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাও, উঠছে প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাম মন্দিরের ভূমি পুজো উপলক্ষে বুধবার গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুজো-অর্চনায় মারতে দেখা যায় বিজেপি নেতা কর্মীদের। বহুপ্রতিক্ষিত রাম মন্দিরের আইনি জটিলতাকে সামলে নিয়ে তার ভূমি পূজার সূচনা নিঃসন্দেহে দেশবাসীর মনে নয়া উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে। তবে গোটা ঘটনাকে নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও কম নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই রাজনীতিকে দূরে রেখে ভারতের ধর্মের কথা ভেবে এই রাম মন্দিরকে সমর্থন করা উচিত বলে দাবি জানিয়েছেন।

তবে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাম মন্দিরের ভূমি পুজো শুরু হওয়ায় আগামী দিনে বিজেপি যে এর সুফল অনেকটাই তাদের ভোটব্যাংকে তুলতে পারবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তবে রাম মন্দিরের এই বিষয়ে তেমন ভাবে বিরোধিতা না করলেও, স্বপক্ষে মুখ খোলেননি কোনো তৃণমূল নেতা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে রাম মন্দিরের ভূমি পুজো নিয়ে যখন আরাধনা শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই রাম মন্দিরে গিয়ে মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজো দিতে দেখা গেল রেল শহর আদ্রা শহর তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে।

জানা যায়, এদিন দুপুর বারোটার সময় নিজের কুড়ি পঁচিশ জন অনুগামীকে নিয়ে স্থানীয় রাম মন্দিরে গিয়ে পূজা দেন ধনঞ্জয়বাবু। আরতী করে রামের বিগ্রহকে স্নান করিয়ে নিষ্ঠা সহকারে পুজো করেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ তৃণমূল নেতা এই পুজোতে শামিল হলেন কেন? যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির এই রাম পুজো নিয়ে লকডাউন ভাঙ্গা হচ্ছে বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে, সেখানে তৃণমূল নেতার অনুগামীদের নিয়ে রাম মন্দিরে পুজো দেওয়ার ঘটনা শাসক দলকে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা এই প্রসঙ্গে অন্য যুক্তি দিয়েছেন তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবে। তিনি বলেন, “রাম কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পদ নয়। হিন্দুদের দেবতা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ভিত স্থাপন হয়েছে। তাই দিনটিকে স্মরনীয় রাখতে পূজো দিয়েছি।” যদিও বা এই ব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে অন্য যুক্তি দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবেকে কিছুটা চাপে ফেলে দিয়ে জেলা বিজেপির সম্পাদক রাজেশ চিন্না বলেন, “তৃণমূল বুঝে গিয়েছে এই পরিস্থিতিতে রামের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া কোনো গতি নেই। তাই তারা রাম মন্দিরে পুজো দিলেন। ধনঞ্জয়বাবু কিন্তু এসব করে ভোটারের মন পাবেন না। হয়ত তিনি এবার বিজেপিতে যোগ দেবেন বলেই এসব করছেন।”

কিন্তু বিজেপি নেতার এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মনে এখন একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে যে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই রাম মন্দির স্থাপনের সেলিব্রেশন নিয়ে যখন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তখন কেন এই তৃণমূল নেতা রামভক্ত হয়ে পুজো দিলেন! হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে রামের পুজো দেওয়াতে অন্যায়ের কিছু নেই।

কিন্তু বর্তমান রাজনীতিতে রামকে নিয়ে যেভাবে তরজা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে তৃণমূল নেতার এই অতি রামভক্ত মনোভাব তাকে গেরুয়া শিবিরের দিকে টানতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এখন ভূমি পুজো স্থাপনের দিন রামের মন্দিরে পুজো দিয়ে সেই জল্পনাতে সীলমোহর দিলেন ধনঞ্জয় চৌবে, নাকি ধর্মের জন্য ধার্মিক হয়ে রামের পুজো দিলেন তিনি! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!