এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > রাঢ়বাংলাকে আলাদা রাজ্যের দাবী কতটা যুক্তিযক্ত? কি বলছে ইতিহাস?

রাঢ়বাংলাকে আলাদা রাজ্যের দাবী কতটা যুক্তিযক্ত? কি বলছে ইতিহাস?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে যখন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের তকমা দেওয়ার দাবী জানাচ্ছেন, ঠিক সেসময় আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদের সুরে সুর মেলালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনিও রাঢ়বাংলাকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তোলেন। আর তাই নিয়েই বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে চলছে তীব্র চাপানউতোর। সূত্রের খবর, বাংলার জনগণের মতামত কিন্তু অন্য। তাঁরা কেউই বাংলা থেকে আলাদা হতে চাইছেন না। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের অন্দর থেকেও দুই সাংসদের মতামতকে ব্যক্তিগত বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত জানা যায় এই রাঢ়বাংলা একবার নয়, বহুবার ভেঙেছে।

আর তাই সেখানকার আদি বাসিন্দারা আর এই ভাঙনের সম্মুখীন হতে রাজি নন। এর আগে ছোটনাগপুর মালভূমি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর এর মতন জায়গাগুলি একাধিকবার ভেঙেছে, যার নজির আছে ইতিহাসের পাতায়। 1773 সালে ছিল পাঁচেট জেলা। সেই পাঁচেট জেলা ভেঙে জঙ্গলমহল তৈরি হয় 1805 সালে। এরপর 1833 সালে আবার জঙ্গলমহল ভেঙে তৈরি হয় মানভূম। পরে সেই মানভূমকেও ভেঙে ফেলা হয় লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গের সময় অর্থাৎ 1905 সালে। পরবর্তীতে মানভূম যুক্ত হয় বিহার উড়িষ্যার মধ্যে। পরবর্তীতে বাংলা ভাষার রক্ষার তাগিদে সাবেক মানভূম ভেঙে জন্ম হয় পুরুলিয়ার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ছোটনাগপুর মালভূমি, মানভূম সহ সমগ্র বাঁকুড়া এবং বর্ধমানের একটা অংশ ছিল একসময় পাঁচেট জেলায়। সেসময় সদর শহর ছিল বর্তমান পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর। পরবর্তীতে যখন ব্রিটিশরা পাঁচেট জেলা ভাঙে, সেসময় জঙ্গলমহল জেলা তৈরি হয়। যার সদর কার্যালয় ছিল বাঁকুড়ায়। পরবর্তীতে আবার জঙ্গলমহল ভেঙে তৈরি হয় মানভূম। সেসময় সদর শহর হয়ে যায় মানবাজার। পরে আবার পুরুলিয়ায় যা ফিরে আসে। পাঁচেট থেকে পুরুলিয়া এই দীর্ঘ যাত্রাপথে বারবার ভেঙেছে এই অঞ্চল। জঙ্গলমহল দীর্ঘদিন উন্নতির ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এখনো অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে এই অঞ্চল বলে মনে করা হয়। তবে তৃণমূল সরকারের দাবি, তাঁরা ক্ষমতায় এসে জঙ্গলমহলের উন্নতিসাধন করেছে।

ফলস্বরূপ, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের আবার জয়। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ যতই দাবি করুন জঙ্গলমহল ভাগের, এলাকার মানুষ কিন্তু সাংসদের কথা মানবেন না। বরং এলাকার মানুষ বিরোধিতায় নামতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব থেকে ইতিমধ্যে সৌমিত্র খাঁকে ডেকে পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলায় থেকে বাংলা ভাগের দাবি সাধারণ মানুষের কাছে গেরুয়া শিবিরের অবস্থান ক্ষুণ্ণ করতে পারে। আর তা ভালোই বুঝেছে রাজ্য বিজেপি। মনে করা হচ্ছে, আপাতত বঙ্গভঙ্গের দাবি নিয়ে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে আর কোন আওয়াজ উঠবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!