সপুত্র মুকুল রায় দল ছাড়ার পরেই অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপিতে থাকা মুকুল অনুগামী থেকে দলের নবাগতদের? উত্তরবঙ্গ বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 12, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অন্যান্য দল থেকে বিজেপিতে যোগদান শুরু হতেই দলে আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। এদিকে গতকাল মুকুল রায় তাঁর পুত্র শুভাংশু রায় সহ তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেছেন। এরপর প্রাক্তন বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, গদাধর হাজরা তৃণমূলে ফেরার উদ্যোগ নিতে শুরু করেছেন। আর এরপর থেকেই বিজেপিতে আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব তীব্র হতে শুরু করেছে, দলের সন্দেহের চোখে দলের নবাগতরা। একাধিক স্থানে এই ঘটনা ঘটছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো কোচবিহার জেলা। নবাগতদের অধিকমাত্রায় গুরুত্ব দিলে দলের কী পরিণতি হতে পারে? সে কথা তুলে ধরে দলকে সতর্ক করছেন দলের আদি নেতৃত্ব। কোচবিহারে ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন ভূষণ সিং। যিনি কোচবিহার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তিনি আবার তৃণমূলে ফিরে যাবেন বলে, শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে, গত লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন নিশীথ প্রামানিক। নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি কোচবিহারের সাংসদ হয়েছেন। কিন্তু গতকাল তাঁর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি। আবার কিছুদিন আগে সাংসদ নিশীথ প্রামানিক করোনা রোগীদের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করেছিলেন। জানা যায়, এর বৈধ কাগজপত্র নেই। দলের অনেক নেতাও এ বিষয়টি জানেন না। আবার ইতিমধ্যে নিশীথ প্রামাণিকের দিল্লি যাবার কথাও দলের বহু নেতাদের অজানা ছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আবার, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন মিহির গোস্বামী। নির্বাচনে জয়লাভ করে নাটাবাড়ি থেকে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি হলেন দলের কর্মী। দলের নির্দেশ মেনে চলেন তিনি। তিনি বিজেপিতেই থাকবেন। তবে, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তিনি নেননি। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ চলছে, সেখানে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে তিনি কী করবেন? তবে, কোচবিহার জেলা বিজেপি সভানেত্রী ও বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় জানিয়েছেন, দলের নিচুতলার নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে গ্রামে গ্রামে যেতে হবে তাঁকে। এ কারণে কেন্দ্রের নিরাপত্তা আবশ্যক বলে মনে করছেন তিনি। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ। গতকাল থেকে জেলার একাধিক স্থানে আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। মুকুল রায় তৃণমূল ফেরার পর থেকেই দলের নবাগতদের অনেককেই সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন অনেকে। তবে, কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা দীপা চক্রবর্তী জানালেন, কোচবিহার তথা গোটা উত্তরবঙ্গে বিজেপিতে কোন বিরোধ নেই। অন্যদিকে জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় জানালেন, মুকুল রায় দলবদল করলেও বিজেপিতে তার কোনো প্রভাব পড়বে না। দলে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আবার, কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী জানালেন, ধীরে ধীরে শক্তি বাড়ছে দলের। দলে আদি-নব্যের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। যারা বিজেপি করেন, তাঁরা বিজেপির সঙ্গেই আছেন। আপনার মতামত জানান -