BREAKING- মমতার রাজধর্ম পালনের স্বপ্নে বড় ধাক্কা! রাজ্য-রাজনীতি টলিয়ে দিলেন হেভিওয়েট নেতা! উত্তরবঙ্গ বিশেষ খবর রাজ্য May 15, 2020 বঙ্গ রাজনীতিতে ট্রেন্ডটা দীর্ঘদিন ধরেই সেট করে রেখেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর করোনা আবহে সেই ট্রেন্ড চূড়ান্ত রূপ নিতে শুরু করেছিল! যা নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছিলেন – আর তার জেরেই এবার ‘রাজধর্ম’ পালনে ব্রতী হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে পুরসভায় প্রশাসক বসানো নিয়ে। বাংলায় বহু পুরাসভাতেই, দীর্ঘদিন মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও, সেখানে নির্বাচন করাচ্ছিল না রাজ্যের শাসকদল বলে অভিযোগ উঠেছিল। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচন হলেই তৃণমূল কংগ্রেস হেরে জেরে পারে – তাই পুরাসভাগুলিতে নির্বাচন না করিয়ে সেখানে নিজেদের পছন্দমত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসাবে বসানোর অভিযোগ করছিলেন বিরোধীরা। আর তা যে শাসকদলের বিড়াম্বনা বাড়াচ্ছিল – তা মেনে নিচ্ছিলেন রাজনীতির কারবারিরা! আর সেই বিতর্ক চরমে ওঠে করোনা আবহে পুরভোট না করতে পেরে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সৈনিক ফিরহাদ হাকিমকে বসিয়ে। বিরোধীদের তীব্র আক্রমন আরও ঝাঁঝালো হয়ে ওঠে, যখন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর জানিয়ে দেন, তাঁর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আর তারপর থেকেই জল্পনা ছড়াতে থাকে ‘মুখ বাঁচাতে’ বিরোধীদের হাতে থাকা গুটিকয় পুরসভার প্রশাসক হিসাবে বিরোধী দলের নেতাদেরই বসানো হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছিলেন – সত্যিই যা করা যায় তাহলে এক ঢিলে অনেক পাখি মেরে দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ‘চিত্রনাট্য’ মতোই আজ শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক হিসাবে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে নিয়োগ করে রাজ্যে সরকার। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রাজধর্ম’ পালনের স্বপ্নে বড়সড় ধাক্কা লাগলো। বিস্ফোরক অভিযোগে, তা প্রত্যাখ্যান করলেন অশোকবাবু। বড়সড় অভিযোগ তুলে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক পদ ‘প্রত্যাখ্যান’ করলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। যা নিয়ে শুরু হয়েছে ফের তৃণমূল বামেদের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এদিন তিনি অভিযোগ করেন যে, আগে কোথাও স্বাভাবিকভাবে যে পাঁচ জন তৃণমূল নেতা, যারা কাউন্সিলর হয়ে কোনো কাজ করেন নি, শুধু বাধা দিয়ে গেছেন তারা কেন বোর্ড অফ কাউন্সিলে? আমরা এইটা মানছি না। এখানেই শেষ নয়, এদিন তিনি প্রতিহিংসামূলক আচরণের অভিযোগও তোলেন। তিনি বলেন আমি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি। যদিও এই নিয়ে তৃণমূলের দাবি সিপিএম দ্বিচারিতা করছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোকবাবুকে প্রশাসক পদে বসিয়ে রাজধর্ম পালন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি তা মানলেন না। কিন্তু, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অশোকবাবুর এই পদক্ষেপ – কার্যত মাস্টারস্ট্রোক। কেননা, এতদিন এই প্রশাসক নিয়েও বিরোধীরা তীব্র আওয়াজ তুলেছিল – এখন অশোকবাবু নিজে তা গ্রহণ করলে, বিরোধীদের সেই প্রতিবাদ মাঠে মারা যেত! সব মিলিয়ে নতুন আবহে জমজমাট রাজ্য-রাজনীতি। আপনার মতামত জানান -