বাংলায় চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িতদের ঘুম ওড়াতে আরও বড়সড় ও কড়া পদক্ষেপ সিবিআইয়ের – জানুন বিস্তারিত কলকাতা জাতীয় রাজ্য February 7, 2019 কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে চিটফান্ড কাণ্ডে সিবিআইয়ের জেরা করতে চাওয়া নিয়ে গত রবিবার সন্ধ্যে থেকে যা চলছে – তা আপাতত বাংলার গন্ডি ছাড়িয়ে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। এই নিয়ে ধর্নায় বসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আর অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাংলার বাইরে শিলংয়ে সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হতে চলেছেন রাজীব কুমার। আর সেই জেরা নিয়ে আপাতত তুমুল চর্চা গোটা রাজ্যজুড়ে। মূলত, প্রশ্ন ঘুরছে দুটি – এক, সিবিআই যেসব অভিযোগ এনেছে (যেমন তদন্তে অসহযোগিতা বা নথি ও তথ্য নষ্ট করে দেওয়া) সেগুলো জেরার পরে প্রমান করে দেবে তদন্তকারী সংস্থা। আর দুই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি মত, সিবিআই কিছুই প্রমান করতে পারবে না, ক্লিনচিট পাবেন রাজীব কুমার। ব্যাকফুটে চলে যাবেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি। তৃণমূল কংগ্রেস প্রমান করে দেবে রাজনৈতিকভাবে সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু, এর মাঝেই চিটফান্ড কান্ড নিয়ে কড়া পদক্ষেপের পথে সিবিআই। সূত্রের খবর, এই নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্র থেকে যা জানা যাচ্ছে, এবার চিটফান্ড তদন্তে গতি আনতে শুধুমাত্র বাংলার জন্য ১০ জন স্পেশাল অফিসারকে নিয়ে একটি টীম পাঠাতে চলেছে সিবিআই। যে টিমের নেতৃত্ব দেবেন সিবিআইয়ের পূর্বাঞ্চলের জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তব স্বয়ং। আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকালই সেই টীম পা রাখতে চলেছে কলকাতায়। সূত্রের খবর, চিটফান্ডকাণ্ডে আর কোনও বাধা মানতেই নাকি রাজি নন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। আর তাই, তদন্তে যাতে কোনো ফাঁক না থাকে তাই আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত সিবিআইয়ের ওই ১০ অফিসার কলকাতায় থেকেই জোরদার তদন্ত চালিয়ে যাবেন কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। তবে এই তদন্তে কোথাও ‘রেড’ হবে বা কোন কোন প্রভাবশালীকে জিজ্ঞাসা করা হবে তা জানা যায় নি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী নাকি তা ঠিক করা হবে। তবে, এই ১০ অফিসারের কলকাতায় পদার্পনের পরে যে অনেক প্রভাবশালীরই ঘুম উড়ে যাবে – এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -