এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু ‘ঘনিষ্ঠ’ জেলা তৃণমূলের ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের অবস্থান নিয়েও চর্চা শুরু

শুভেন্দু ‘ঘনিষ্ঠ’ জেলা তৃণমূলের ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের অবস্থান নিয়েও চর্চা শুরু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অবশেষে আশঙ্কা সত্যি হলো। মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর এবার বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী যখন থেকে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়িয়েছেন, তখন থেকেই দেখা গেছে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অনুগামীরা ‘আমরা দাদার অনুগামী’ বলে একের পর এক পোস্টার দিয়েছেন। শুভেন্দু যে দল ছেড়ে বেরোবেন, সে কথা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁর অনুগামীরা কী করবেন তা নিয়ে এবার উঠেছে প্রশ্ন। কয়েকজন দল ছাড়লেও শুভেন্দুর বহু অনুগামী এখনো তৃণমূলেই রয়ে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এবার সেই অনুগামী নেতারা অর্থাৎ তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতাদের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার চর্চা। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ নেতারা অনেকেই মেদিনীপুরের খড়্গপুর মহকুমার জনপ্রতিনিধি। বস্তুত শুভেন্দু অধিকারীও মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র বলেই পরিচিত। তবে অনেকেই মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছাড়া এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। জোরদার গুঞ্জন, আগামী শনিবার মেদিনীপুরের সভা করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবং সেই সভাতেই অমিত শাহের হাত ধরে শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করবেন। এমনকি ঐদিন সভায় শুভেন্দু ছাড়াও তাঁর অনুগামীদের বহুলাংশই গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করতে চলেছেন বলে খবর।

যদিও এখনো পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি বলে জানান রাজ্য বিজেপির নেতা তথা রাঢ়বঙ্গের মুখপাত্র তুষার মুখোপাধ্যায়। তবে তিনিও দলবদলের ইঙ্গিত দিয়ে জল্পনা বানিয়ে রেখেছেন। তবে দলের বিরুদ্ধে সরব হলেও শুভেন্দু অনুগামীদের অনেকেই এখনো প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। কেউ কেউ দলে থেকেই প্রতিবাদের রাস্তা বেছে নিচ্ছেন। আবার অনেকেই 72 ঘন্টা হাতে সময় রেখেছেন বলেও জানিয়েছেন। খড়গপুর মহুকুমার সবং এর নেতা তথা জেলা কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি প্রথম দিন থেকেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যথারীতি শুভেন্দু অধিকারী দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর তাঁর অনুগামী হিসেবেই পরিচিত হয়েছেন অমূল্য মাইতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এমনকি তৃণমূল নেত্রীর জনসভাতেও দেখা যায়নি অমূল্যকে। এদিকে অমূল্য অভিযোগ করেছেন, তাঁর সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দল। তাই তিনি দলে থাকবেন কিনা সে ব্যাপারে 72 ঘন্টা সময় চেয়েছেন। কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে সামনে আসায় তৃণমূলের জেলা নেতা তথা ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অলোক আচার্য কিন্তু জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন। তাঁর মতে, দলে থেকেই তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু তাতে কোনই বিচার পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই দল এভাবে চললে তিনিও যে দলত্যাগ করবেন সে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি জহরলাল পাল বেশ কিছু মাস যাবত দলের কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন না। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর থেকেই তাঁকে সমর্থন যুগিয়েছেন জহরলাল। আপাতত তিনি শেষ পর্যন্ত দেখবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে দাঁতন থেকে নির্বাচিত তৃণমূল জেলা কর্মাধ্যক্ষ রমা গিরি বর্তমানে ‘দাদার অনুগামী’ হয়েই রীতিমতো তৃণমূলে কোণঠাসা। তবে তিনি জানিয়েছেন, দলের সাথে কোন যোগাযোগ নেই তাঁর। শুভেন্দু অধিকারীকেই তিনি নেতা হিসেবে মানছেন এবং শুভেন্দুর নির্দেশ অনুযায়ী চলবেন সে কথা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যে রাজ্যের এক ঝাঁক তৃণমূল নেতা দল ছাড়বেন সে কথা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

প্রায় প্রতিদিন শুভেন্দু অনুগামীদের সংখ্যা বাড়ছে বলে মত রাজনীতির কারবারীদের। এই অবস্থায় যথারীতি তৃণমূল শিবিরে আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়িয়েছেন এই মুহূর্তে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা। যথারীতি তাঁদের অনুগামীদের সংখ্যাও অনেক। সবমিলিয়ে যদি তৃণমূল ছেড়ে চলে যান সবাই, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায় তৃণমূল দল বিপাকে পড়বে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই। এই অবস্থায় এখন নজর থাকছে, শুভেন্দুর পর তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তার ওপর।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!