এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু একা নন, একুশের ভোটের আগে তৃনমূল ছাড়তে পারেন কোন কোন নেতা

শুভেন্দু একা নন, একুশের ভোটের আগে তৃনমূল ছাড়তে পারেন কোন কোন নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একের পর এক নেতাদের বিদ্রোহে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে তৃনমূল কংগ্রেসে। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্তের মত নেতারা ক্রমশ বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। যার ফলে জল্পনা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। অনেকেরই আশঙ্কা, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেহেতু একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন, তাই তারা আগামী দিনে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর মত তৃণমূলের শীর্ষ নেতা তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী রাজার আচরণকে কেন্দ্র করে নিঃসন্দেহে জল্পনা তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে নিজের টিম গঠন করতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন জেলা সফর করে তিনি নিজের অনুগামীদের নিয়ে এখন থেকেই বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তৈরি হচ্ছেন। আর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি হয়ত বা নতুন মঞ্চ গঠন করতে পারেন। আর শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরমহলে, তখন একের পর এক বিধায়কের বিদ্রোহ ঘোষণা শাসকদলের চিন্তাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কাল থেকেই তৃণমূলের সমস্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন প্রখ্যাত রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু সেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন শীলভদ্র দত্ত থেকে শুরু করে মিহির গোস্বামীর মত দীর্ঘদিনের বিধায়করা। ইতিমধ্যেই মিহিরবাবু দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। একইভাবে আগামী দিনে নির্বাচনে তিনি লড়াই করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত।

অন্যদিকে যে সিঙ্গুরের আন্দোলন থেকে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পথকে প্রশস্ত করেছিল, সেই সিঙ্গুরের বিধায়ক প্রবীণ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য আগামী দিনে দলবদলের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী যদি দলের সঙ্গে আরও দূরত্ব তৈরি করে নতুন কোনো মঞ্চ গঠন করেন, তাহলে এই সমস্ত বিদ্রোহী বিধায়করা সেখানে যোগদান করতে পারেন বলে দাবি সমালোচক মহলের একাংশের। আর এই জল্পনা‌ যদি সত্যি হয়, তাহলে আগামীদিনে তৃণমূল কংগ্রেস যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় অস্বস্তিতে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির এহেন দাবির সমসাময়িক মুহূর্তে একের পর এক তৃণমূল বিধায়কদের বিদ্রোহ ঘোষণা শাসকদলের চিন্তাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও বা শীলভদ্র দত্ত থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মত তৃণমূল বিধায়করা আগের মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তাহলে আগামী দিনে তৃণমূলকে বড়সড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে চলা তৃনমূল কংগ্রেস বিদ্রোহী বিধায়কদের মান ভাঙানোর চেষ্টা কেন করছে না, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে এবার আগামী দিনে নিজেদের হিতের কথা চিন্তা করে তৃণমূল কংগ্রেস এই সমস্ত বিধায়ক যারা দলের সঙ্গে দূরত্ব স্থাপন করে চলেছেন, তাদের মান ভাঙানোর জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!