প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভারতবর্ষে গনতন্ত্র আছে কি না, এটাই এখন প্রধান প্রশ্ন বিরোধীদের কাছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলতে দেখা যায় বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। সম্প্রতি ফেসবুক নিয়ে নতুন একটি অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। যেখানে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে ভারতের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। তাহলে কি সত্যি সত্যিই ফেসবুকের সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতা রয়েছে! তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। আর ফেসবুকের সঙ্গে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে যখন তৃণমূল সরব হচ্ছে, তখনই বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্যকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান।

এদিন তিনি বলেন, “আপনাদের মধ্যে কি কোনো নীতিবোধ অবশিষ্ট রয়েছে! আর সত্যিই অবিশ্বাস্য যে কিভাবে বিজেপির নেতারা ফেসবুকের মত একটি পাবলিক ফোরামকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করে চলেছে। সাংঘাতিক বিপদে গণতন্ত্র!” আর নুসরাত জাহানের বিজেপির বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন করে বঙ্গ রাজনীতিতে ঝড় উঠতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যেভাবে বিশিষ্ট অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ গোটা ঘটনায় “ভারতবর্ষে গণতন্ত্র বিপদে রয়েছে” বলে দাবি করলেন, তাতে বিজেপি কিছুটা হলেও চাপে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি নুসরাত জাহানের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা মন্তব্য করে তৃণমূলকে চাপে ফেলা হতে পারে বলেও দাবি একাংশের। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।