এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে থাকা হেভিওয়েট নেতাকে পদ থেকে তৃণমূল সরিয়ে দিতেই উপচে পড়ল ক্ষোভ!

মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে থাকা হেভিওয়েট নেতাকে পদ থেকে তৃণমূল সরিয়ে দিতেই উপচে পড়ল ক্ষোভ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরবঙ্গে ব্যাপকভাবে সাংগঠনিক রদবদল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি কোচবিহার জেলাকেও ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে কোচবিহার জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি বিষ্নুব্রত বর্মনকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এই বিষ্ণুব্রত বর্মন। তাই এমতাবস্থায় তাকে দল যুব জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করলেন সেই বিষ্ণুব্রত বর্মনের ভাই প্রিয়ব্রত বর্মন।

যার ফলে কোচবিহার জেলা রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রিয়ব্রতবাবুর এই ফেসবুক পোস্টে তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কি এমন পোস্ট করলেন কোচবিহারের সদ্য প্রাক্তন যুব তৃণমূলের সভাপতি বিষ্ণুব্রত বর্মনের ভাই প্রিয়ব্রত বর্মন?

সূত্রের খবর, এদিন প্রিয়ব্রতবাবু তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, বিষ্ণুব্রত বর্মন 17 জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথমে কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন‌। এরপর তাকে শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে জীবনের সাথে লড়াই করছেন। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রায় নির্বাচনে যাওয়া জেলা নেতৃত্বের অভাবে কর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়েছে, তখন দলনেত্রীর নির্দেশ যুব সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। করোনা আক্রান্ত পরিবেশেও সফলভাবে সংগঠনের কাজ চালিয়েছেন। কিন্তু এখন সে নিজেই করোনা যোদ্ধা। 1998 সালে আমার বাবা প্রসেনজিৎ বর্মন পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক দায়িত্বভার নেওয়ার পাশাপাশি ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। জেলার মানুষকে সদ্য তৈরি হওয়া দলের প্রতিক চিনিয়েছিলেন‌। কিন্তু সু সময়ে তাকে সরিয়ে রাখায় তিনি প্রায় নিখোঁজ অবস্থায় চলে গিয়েছিলেন।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

আর এরপরই হঠাৎ করে তার দাদা বিষ্ণুব্রত বর্মনকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় দলের বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কিছুটা ক্ষোভ পোষণ করেন প্রিয়ব্রত বর্মন‌। তিনি বলেন, “দলীয় নেতৃত্ব সব জেনেও একুশে জুলাই পালন ও কমিটি পরিবর্তনের ব্যাস্তস্তায় চিকিৎসাধীন বিষ্ণুব্রত বর্মনের খোঁজ নেওয়ার সময় পাননি। তবু যারা তার অনুগামী এবং তার দ্বারা অনুপ্রাণিত, তাকে ভালোবাসে দলটা করেছিলেন, তাদের সকলকে দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং দলের জন্য জীবন উৎসর্গ করার বার্তা বিষ্ণুব্রত বর্মন দিয়েছেন।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতির করোনা ভাইরাস হয়েছে, তখন তাকে এভাবে সরিয়ে দেওয়াতেই এখন তার ভাই ফেসবুকে এই রকম পোস্ট করে তৃণমূলের বিরম্বনা বাড়িয়ে দিলেন। অর্থাৎ প্রিয়ব্রত বর্মন একথা বলে বোঝাতে চাইলেন যে, তার দাদা দুঃসময় দলের হাল ধরলেও, এখন তার দাদাকে এভাবে সরিয়ে দেওয়া মোটেই ঠিক হয়নি।

স্বভাবতই জেলা যুব তৃনমূলের প্রাক্তন সভাপতি ভাইয়ের ফেসবুক পোস্ট এখন কোচবিহার জেলা নেতৃত্বকে যে ব্যাপক সমস্যায় ফেলবে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এমতাবস্থায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু গোটা পরিস্থিতি যে ক্রমশই ঘোরালো হয়ে উঠতে চলেছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যে কিছুটা হলেও চাপে পড়বে ঘাসফুল শিবির, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!