এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল বিধায়কের আচরণে দল ছাড়ার হুমকি নেতাকর্মীদের! জোর চাঞ্চল্য!

তৃণমূল বিধায়কের আচরণে দল ছাড়ার হুমকি নেতাকর্মীদের! জোর চাঞ্চল্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। বিভিন্ন সময়ে দলের অন্দরে নানা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা ক্ষমতা পেয়ে দলের নেতাকর্মীদের কোনোভাবেই গুরুত্ব দেন না। এক্ষেত্রে নিজেরা যা ভাবেন, তাই করেন। দলে কর্মীদের বিন্দুমাত্র সম্মান নেই।

আর এবার শাসকদলের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে দিয়ে রানিবাঁধের তৃনমূল বিধায়ক জোস্না মান্ডির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন জঙ্গলমহলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু হঠাৎ কেন তারা এইরকম কথা বলছেন? জানা গেছে, রাণীবাঁধ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সমীর হাসদা গত শনিবার একটি প্রয়োজনে বিধায়ক জোসনা মান্ডির কাছে শংসাপত্র নিতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বিধায়ক তাকে শংসাপত্র না দিয়ে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।

আর এরপরই সেই তৃণমূল নেতা রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন যে, এর প্রতিবাদে দল যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তারা তৃণমূল ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। একাংশের মতে, সত্যিই তো তাই! এক্ষেত্রে বিরোধীরা যদি অভিযোগ তুলত যে, তাদের শাসকদলের বিধায়ক গুরুত্ব দিচ্ছে না, তাহলে না হয় বিতর্কের খাতিরে তা ধরে নেওয়া যেত। কিন্তু যেখানে তৃণমূলের নেতা অভিযোগ তুলছেন তৃণমূলের বিধায়কের বিরুদ্ধে, সেখানে নিঃসন্দেহে বিতর্ক বাড়ছে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

তাহলে কি এবার তৃণমূল বিধায়কের এই দুর্ব্যবহার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে শাসকদলের? সত্যি সত্যিই কি তাহলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হয়ে দল পরিবর্তন করবেন? আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি তা হয়, তাহলে জঙ্গলমহলে আরও চাপে পড়বে শাসকদল বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এদিন এই প্রসঙ্গে অভিযোগকারী তৃণমূল নেতা সমীর হাঁসদা বলেন, “দল যদি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আদিবাসী সমাজের মানুষ তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা খাতড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে বিধায়কের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।”

এদিকে এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তাহলে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কর্মী তথা আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি প্রশান্ত কুমার সোরেন। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি দলের কর্মীদের সাথে কি এরকম আচরণ করতে পারেন! তাহলে তিনি সাধারণ মানুষের সাথে কেমন আচরণ করবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা যুব তৃনমূলের কার্যকরী সভাপতি বিদ্যুৎ দাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি “আজই ঘটনা শুনলাম” বলে ফোন কেটে দেন। এদিকে যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই তৃণমূল বিধায়ক জোসনা মান্ডি অবশ্য এই ব্যাপারে নির্লিপ্ত।

এদিন তিনি বলেন, “আমার রানিবাঁধ বিধানসভার প্রত্যেক মানুষকে চেনা সম্ভব নয়। কে জীবিত, কে মৃত আমি কি করে জানব! সেই কারণে যার জন্য শংসাপত্র নিতে এসেছিলেন, তার প্রধানের শংসাপত্র বা ঐ জাতীয় কিছু নিয়ে আসতে বলেছিলাম। তারপরেই এই সমস্ত অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”

তবে তৃণমূল বিধায়ক যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সরব হতে শুরু করেছেন, তাতে গোটা পরিস্থিতি তৃণমূলের হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিধায়কের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সত্যি সত্যিই ‌দলত্যাগ করেন, নাকি এই দলবদল প্রক্রিয়া আটকাতে পারে শাসক দল, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!