এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের অন্দরে অশান্তি-খুনোখুনির জন্য বিজেপি ফেরত হেভিওয়েট দলীয় নেতার দিকেই উঠছে আঙুল!

তৃণমূলের অন্দরে অশান্তি-খুনোখুনির জন্য বিজেপি ফেরত হেভিওয়েট দলীয় নেতার দিকেই উঠছে আঙুল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই মুহূর্তে প্রায় গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বারংবার বার্তা দেওয়া হলেও আদতে কতটা কাজ হচ্ছে, তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ থাকছে। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন আর থামতেই চাইছে না। সম্প্রতি গঙ্গারামপুরে তৃণমূল কর্মী খুন এবং অন্য এক তৃণমূল কর্মীর বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা শাসক শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে আরও উসকে দিয়েছে। কিন্তু এত কিছু হওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত চলছে দলের অন্দরে একে অপরকে দোষারোপ।

গঙ্গারামপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দলের নতুন চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্রকে দায়ী করলেন দলের সহ-সভাপতি তথা গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার। তাঁর দাবি, বিজেপি থেকে বিপ্লব মিত্র তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁর অনুগামীরা আবারও আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে, যার ফলস্বরূপ এই গন্ডগোল। অন্যদিকে অমলেন্দু সরকারের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন বিপ্লব মিত্র। তিনি জানিয়েছেন, এগুলি আসলে অপপ্রচার। তবে তিনি জানিয়েছেন, জেলার কোথাও অশান্তির পরিবেশ তৈরি হোক তা তিনি মোটেই চাননা। সেক্ষেত্রে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করাই তার কাছে আসু কর্তব্য বলে তিনি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস জানিয়েছেন, জেলার অশান্তি নিয়ে তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তবে দলের মধ্যে কে কাকে দোষারোপ করেছেন, তা তার জানা নেই। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার গঙ্গারামপুরের শুকদেবপুরের তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে সঞ্জীব সরকার নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালিপদ সরকারের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই দুটি ঘটনার কারণে এলাকায় এখনো থমথমে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, সময় যত যাচ্ছে ততই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শাসক শিবিরের অন্তর্কলহ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দক্ষিণ দিনাজপুরের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য এবং ঝামেলা মেটানোর জন্য জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব চেষ্টা চালালেও পরিস্থিতির যে বিশেষ বদল হয়নি তা গঙ্গারামপুরের ঘটনা চোখে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে স্থানীয়রা অবশ্য জানাচ্ছেন, তৃণমূল চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্র দলীয় কোন্দল মেটাতে বারবার বার্তা দিলেও তাঁর অনুগামীরা কিন্তু ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযোগ নিতে গেরুয়া শিবিরও যথেষ্ট তৎপর। মাসখানেক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন রায়। এদিন তিনি অভিযোগ করেন বিপ্লব মিত্রর বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন তৃণমূল চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্রর প্রশ্রয়েই গঙ্গারামপুরের তৈরি হয়ে গেছে তৃণমূল দুষ্কৃতীর দল। তিনি পদ পেতেই এলাকায় অশান্তি শুরু। অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে যথেষ্ট নিশ্চিত। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগকে মোটেই পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল শিবিরের ফাটল কিন্তু ক্রমশ চওড়া হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই। আর সেই ফাটল দিয়ে যে ক্রমশ গেরুয়া শিবিরের প্রবেশ হচ্ছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলকে আরও সংঘবদ্ধ করতে মরিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!