তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার প্রবলতর হল শিক্ষাকর্মী সংগঠনেও! অভিযোগের তীর বিধায়কের দিকে উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য January 5, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই যেন তাদের বড় কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতদিন ছাত্র থেকে যুব বিভিন্ন সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রধান কাঁটা হয়ে দাঁড়ালেও শিক্ষক সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সেভাবে চোখে পড়েনি। কিন্তু এবার উত্তর দিনাজপুর জেলার শিক্ষা কর্মী সংগঠনের জেলা সভাপতি পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে ইটাহারের দলীয় কার্যালয়ে সারাবাংলা তৃণমূল শিক্ষাকর্মী সমিতি উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক গৌরাঙ্গ মন্ডল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কর্মী বিপ্লব রায়কে সংগঠনের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। যেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন তিনি। আর এর ফলে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এক সভাপতিকে সরিয়ে দিয়ে আরেকজনকে দায়িত্ব দেওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন। যার ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন এই সংগঠনের জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী তপন নাগ। যিনি রায়গঞ্জ বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর অরিন্দম সরকার এবং জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কিন্তু এদিন সেই তপনবাবুকে সরিয়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অমল আচার্য এবং সন্দীপবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বিপ্লব রায়কে তার দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই তপনবাবুকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই তিনি একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। যেখানে তিনি বলেন, “হঠাৎ করে কাউকে কিছু না জানিয়ে এমনভাবে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত। এতে সংগঠনের ক্ষতি হবে।” একইভাবে এই ব্যাপারে সংগঠনের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক চিরঞ্জীব দত্ত বলেন, “এভাবে আচমকা আমাদের নেতাকে পদ সরিয়ে দিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি মানতে পারছি না।” সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যদি শিক্ষক সংগঠনেও তৃণমূলে এইভাবে দ্বন্দ্ব তৈরি হতে থাকে, তাহলে তৃণমূল কিভাবে ঐক্যমতের ভিত্তিতে চলবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক গৌরাঙ্গবাবু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই তপনবাবু সংগঠনের জন্য কোনো কাজ করছেন না। সংগঠনের বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাকে সমিতির জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে নতুন দায়িত্ব পেয়ে বিপ্লববাবু বলেন, “গৌরাঙ্গবাবু আমাকে সমিতির রাজ্য সভাপতি দেবব্রত সরকারের স্বাক্ষর করা সমিতির জেলা সভাপতি পদে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন। আমি দলের নীতি মেনে কাজ করে যাব।” কিন্তু নতুন সভাপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে যে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন শিক্ষক সংগঠনের দ্বন্দ্ব তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে যথেষ্ট অস্বস্তি এবং বিরম্বনা বাড়াবে বলেই দাবি বিশ্লেষকদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কিভাবে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব আটকাতে সক্ষম হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -