এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > তৃণমূলের প্রসঙ্গ টেনে অধীরকে কড়া বার্তা মোদীর! তীব্র শ্লেষে বিধলেন হেভিওয়েট নেতাকে!

তৃণমূলের প্রসঙ্গ টেনে অধীরকে কড়া বার্তা মোদীর! তীব্র শ্লেষে বিধলেন হেভিওয়েট নেতাকে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার লোকসভায় তৃণমূলের প্রসঙ্গ টেনে এনে কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে বারবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বাধা দেওয়ার জন্য তৃণমূলের থেকে তিনি বেশি প্রচার পাবেন বলে শ্লেষাত্মক বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কংগ্রেসের দলনেতাকে চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু হঠাৎ করে কংগ্রেস নেতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে কেন তৃণমূলের প্রসঙ্গ টানতে হল নরেন্দ্র মোদীকে?

বলা বাহুল্য, রাস্ট্রপতির বক্তৃতার ওপরে এদিন সংসদে বিতর্কের জবাবী ভাষণে কৃষি বিলের পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই সময় বিরোধী বেঞ্চ থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী তার তীব্র প্রতিবাদ করতে থাকেন। আর তখনই সেই বিরোধী নেতাকে কার্যত সতর্ক করে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে উঠে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বাধা পেয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, অধীরজী এবার বাড়াবাড়ি করে ফেলছেন। বাংলাতে তৃণমূলের থেকে বেশি প্রচার পেয়ে যাবেন, চিন্তা করবেন না। বলে দিলাম। আমি আপনাকে এত সম্মান করি। আজ এমনটা কেন করছেন? আপনি সীমালংঘন করছেন।”

বিশ্লেষকেরা বলছেন, তৃণমূলের কথা তুলে ধরে এই কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করে নরেন্দ্র মোদী এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন। একদিকে যেমন সংসদে বিরোধীদের অর্থাৎ বাংলার কংগ্রেস সাংসদ প্রথম লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে আক্রমণ করলেন তিনি, ঠিক তেমনই তৃণমূল যেভাবে বিজেপির বিরোধিতা করে সেই একই কায়দায় কংগ্রেস নেতা তাঁর বক্তব্যে বাধা দিচ্ছে বলে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। যার ফলে তৃণমূল এবং কংগ্রেস দুই দলকেই কার্যত করা ভাষায় আক্রমণ করে রীতিমতো শোরগোল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন দেশের প্রশাসনিক প্রধান বলেই মত একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের মন্তব্য করার পরই সংসদে রীতিমত আলোড়ন পড়ে যায়। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বয়কট করে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস সাংসদরা। এদিকে নরেন্দ্র মোদী তাকে সতর্ক করে দেওয়ার পরই এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “কৃষকদের মৃত্যু নিয়ে কোনো কথা নেই। প্রধানমন্ত্রী তো স্বীকার করে নিলেন, কৃষি আইনে কয়েকটি রাজ্য লাভবান হবে। কয়েকটি হবে না। এমন আইন করার কি দরকার, যখন সবার উপকার হবে না।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে প্রধান লড়াই হতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। তবে সেই লড়াইয়ে যাতে তারা ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে, তার জন্য চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বাম এবং কংগ্রেস। বাংলার সাংসদ তথা লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বিজেপি বিরোধীতার চরম পর্যায়ে গিয়ে বারবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বাধাদান করতে থাকেন।

আর তারপরই তাকে সতর্ক করে দিয়ে রীতিমত তৃণমূলের থেকেও তিনি উপরে যাবেন বলে ঘাসফুল শিবির এবং হাত শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংসদে দাঁড়িয়ে এই ধরনের শ্লেষাত্মক আক্রমণকে কেন্দ্র করে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!