প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিপূর্বেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাজ্যে রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করবে তৃণমূল। একটি বা দু’টি আসন জয়, তৃণমূলের লক্ষ্য নয়। তৃণমূলের লক্ষ্য হলো রাজ্যে রাজ্যে সরকার গঠন করা। এরপর ত্রিপুরা, অসম, গোয়ার মত রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের কাজে মন দিয়েছে তৃণমূল। এবার আরও দুটি রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের লক্ষ্যমাত্রা নিতে চলেছে তৃণমূল।

গতকাল তৃণমূলে যোগদান করলেন কীর্তি আজাদ। তিনি জানালেন, যতদিন তিনি রাজনীতি থেকে অবসর না নেবেন, ততদিন পর্যন্ত কাজ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। তার মতাদর্শেই কাজ করবেন তিনি। তাঁকে তৃণমূলের সদস্য করায়, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাঁর কোন জাতি নেই, কোন ধর্ম নেই। যারা দেশকে ভাঙবেন তাদের তিনি রুখে দেবেন। এছাড়া গতকাল তৃণমূলে যোগদান করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অশোক তানওয়ার। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, আগামী দিনে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তৃণমূলের।

দুই হেভিওয়েট এর তৃণমূলে যোগ দেবার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, এখান থেকে বেশি দূরে নয় হরিয়ানা ও পাঞ্জাব। তাই তাঁরা যত দ্রুত বলবেন, তত দ্রুত তিনি হরিয়ানা, পাঞ্জাবে যাবেন। তৃণমূলে আসার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানালেন। দেশের মঙ্গলের জন্য বিজেপিকে হারানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ জানালেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তিনি সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চান।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এটা পরিস্কার যে, বিজেপির বিরুদ্ধে বড় রকম লড়াইয়ে নামতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। একদিকে যেমন রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তে চাইছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিরোধী দল গুলিকে একত্রিত করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে করতে চলেছে বড়োসড়ো লড়াই। সবকিছু নিয়ে পারদ চড়ছে জাতীয় রাজনীতির।