এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভাইপোর জেলযাত্রা নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ? শুভেন্দুর মন্তব্যে আস্থা বাড়ছে বিরোধীদের!

ভাইপোর জেলযাত্রা নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ? শুভেন্দুর মন্তব্যে আস্থা বাড়ছে বিরোধীদের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যত সময় যাচ্ছে, ততই রাজ্য রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে একটা দাবি উঠতে শুরু করেছে। সকলে একটাই কথা বলছেন, যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের জেল যাত্রা কবে হবে? এক্ষেত্রে বিরোধীরা অবশ্য ভাইপো কবে জেলে যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ঢিলেমি পদক্ষেপের জন্যেই মূল পর্বে ঢুকতে দেরি হচ্ছে। তবে এসবের মাঝেই সেই ভাইপোকে নিয়ে এমন এক কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, যা দেখে হতাশার মাঝেও আশ্বস্ত হতে শুরু করেছেন বিরোধী নেতারা। অনেকে বলছেন, এবার কিছু একটা হওয়ার সময় চলে এসেছে। বড় বটগাছকে উপরে ফেলতে হলে একটু সময় লাগে। শুভেন্দুবাবু নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে হয়ত সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন। কিন্তু সেই সময় যে এবার দরজায় কড়া নাড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিরোধী দলনেতার বিস্ফোরক মন্তব্যের পর রীতিমত রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এদিন পিংলায় একটি সভায় উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আজকেও বাকিবুর রহমান ভেতরে ঢুকেছে। সবাই ভাবছে, ভাইপো কবে ভেতরে যাবে! আমি বলি, একটু ভরসা রাখুন। সময় মত সব হবে। ভরসা হারাবেন না।” আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, আর কত ভরসা রাখবেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ? দিনের পর দিন তদন্ত চলছে। কিন্তু তার কোনো সুরাহা হচ্ছে না। বারবার আদালতে গিয়ে রক্ষাকবচ নিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় ভাইপো। তাই তার বিরুদ্ধে এবার এমন একটা কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যাতে তার বড় বড় বুলি বন্ধ হয়ে যায়। আজ না হোক কাল, একটা পদক্ষেপ যে হবে, তা সকলেই বুঝতে পারছেন। কিন্তু সময় যেভাবে চলে যাচ্ছে, তাতে পদক্ষেপ না হলে জনমানসে চরম হতাশার সৃষ্টি করবে। তবে সেই সময় আসতেও খুব একটা বেশি দেরি নেই বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীও খুব ভালো মত জানেন যে, ভাইপোকে শ্রীঘরে যেতেই হবে। কারণ যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে এবং যেভাবে তাকে ডাকাডাকির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে দুর্নীতি করে রেহাই পাবে না শাসকদলের নেতারা। নরেন্দ্র মোদী বলে দিয়েছেন, তিনি কাউকে খেতে দেবেন না এবং নিজেও খাবেন না। তাই তার নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে পদক্ষেপ নেবে, তাতে ঘুম উড়বে বাংলার যুবরাজের। প্রাথমিক ভাবে হয়ত সাধারণ মানুষ হতাশ হচ্ছেন। কিন্তু খুব দ্রুত তারা একটা বড়সড় সুখবর পাবেন বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যখনই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বাংলার যুবরাজকে ডাকছে, তখনই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রক্ষাকবচ নিয়ে নিচ্ছেন। যাতে তাকে কেউ গ্রেফতার করতে না পারে, তার বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ নিতে না পারে। কিন্তু ইডির কাছে ইতিমধ্যেই তাকে বেশ কিছু নথি জমা করতে হয়েছে আদালতের নির্দেশে। আর সেই নথির ভিত্তিতেই আগামী দিনে যদি পদক্ষেপ গ্রহণ করে ইডি, তাহলে চরম চাপে পড়ে যাবেন বাংলার যুবরাজ। ইতিমধ্যেই ভাইপোর পরিবারের একাধিক সদস্য এবং সদস্যাকেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করেছে। তার সহধর্মিনীকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়েছে। বাংলার যুবরাজের আপ্ত সহায়ককেও জেরার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ফলে চারিদিক থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একেবারে আটঘাট বেঁধেই পথে নেমে এবার একটা কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পথে হাঁটছে। তাই আজ না হোক কাল, গ্রেপ্তার হতেই হবে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!