এগিয়ে আসছে ভোট, এখনও ঘর গোছাতে পারলেন না ৩ হেভিওয়েট বিধায়ক! গোষ্ঠীকোন্দল বাড়াচ্ছে জল্পনা! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের দিন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। তৃণমূলের লক্ষ্য তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় ফেরা। কিন্তু বিজেপির প্রভাব বৃদ্ধির কারণে কিছুটা হলেও চিন্তিত শাসকদল। জেলায় জেলায় সংগঠন বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে বলা হচ্ছে জেলা নেতৃত্বকে। তবে প্রতিটি জেলাতেই কমবেশি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল থাকার কারণে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে শাসক দলকে। বর্তমানে কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লকেই সভাপতি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সেখানকার সংগঠন চাঙ্গা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তবে এই কাজে কিছুটা যে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, কোচবিহার জেলার তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী, উদয়ন গুহ এবং অর্ঘ্য রায় প্রধান নিজেদের এলাকায় কাকে ব্লক সভাপতি করবেন, তার জন্য জেলা সভাপতিদের কাছে এখনও কোনো নাম জমা দেননি। যার ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা। মূলত তিনটি বিধানসভা মেখলিগঞ্জ, দিনহাটা এবং কোচবিহার দক্ষিণ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো নাম জমা পড়েনি। কিন্তু বিধায়কদের সেই নাম তড়িঘড়ি দলের কাছে জমা দিতে বলা হলেও, কেন এই তিন বিধায়ক নাম জমা দিতে পারছেন না! একাংশ বলছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই বিধায়করা এই নাম জমা দিতে নিয়ে সংশয়ে পড়ছেন। কেননা তাদের পছন্দমত নাম দিলে বিরোধী গোষ্ঠী সরব হতে পারে। যার ফলে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসবে। আর এই সময় যদি গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়, তাহলে বিরোধীরা তাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামবে। অস্বস্তিতে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এক্ষেত্রে কোচবিহার জেলার এই তিন তৃণমূল বিধায়ক চরম সমস্যায় পড়েছেন বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “দলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো পালন করছি। সেগুলো শেষ হলেই নাম জমা করব।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ব্লক সভাপতির নাম জমা না করা নিয়ে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “15 জুলাই পর্যন্ত সমস্যা রয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমি ব্লক সভাপতির নাম জমা দেব।” কিন্তু তিনি এখনও পর্যন্ত কেন নিজের এলাকায় ব্লক সভাপতির নাম জেলা সভাপতির কাছে জমা দিলেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান বলেন, “সবকিছু ঠিক হয়ে আছে। আজকালের মধ্যেই সাংগঠনিক ব্লক সভাপতির নাম জমা করব।” কিন্তু কিছু কিছু সমস্যার কারণে যদি এভাবে ব্লক সভাপতিদের নাম ঠিক করা থেকে বিরত থাকেন তৃণমূল বিধায়করা, তাহলে তো আদতে সংগঠনের সমস্যা হবে! কেননা ব্লক সভাপতি না থাকলে সেই অঞ্চলের রাজনৈতিক কাজকর্ম সঠিকভাবে করতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস! সেদিক থেকে বিজেপির প্রভাব যখন বাড়ছে, তখন কি আরও গুরুত্ব সহকারে সংগঠন বাড়ানোর জন্য বিধায়কদের এই ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত নয়! এদিন এই বিষয়ে জেলা নেতৃত্ব তরফ থেকে কি বিধায়কদের কোনো বার্তা দেওয়া হয়েছে? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “জেলায় আমাদের মোট 22 টি সাংগঠনিক ব্লক রয়েছে। সেই ব্লকগুলোতে ব্লক সভাপতি নিয়োগ করা হবে। তার জন্য স্থানীয় বিধায়কদের কাছে নাম চাওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ বিধায়ক জমা দিয়েছেন। তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এখনও কোনো নাম জমা পড়েনি। ওই বিধায়কদের দ্রুত নাম দিতে বলা হয়েছে। আমি আরও দুদিন দেখব। তার মধ্যে নাম জমা না পড়লে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কথা বলব।” তবে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে বার্তা দেওয়ার পর এখন কোচবিহার জেলায় তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সংগঠনের গুরুত্ব বাড়াতে কত দ্রুত তাদের নাম জমা দেন, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -