এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোটের ইস্তেহারে কোন দলের পক্ষ থেকে কি চমক? শেষ ভোটে দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ করতে সক্ষম শাসকদল? শুরু চর্চা!

ভোটের ইস্তেহারে কোন দলের পক্ষ থেকে কি চমক? শেষ ভোটে দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ করতে সক্ষম শাসকদল? শুরু চর্চা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা হোক বা বিধানসভা, প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের মত করে প্রতিটি নির্বাচনের আগেই ইশতেহার প্রকাশ করে চমক দেওয়ার চেষ্টা করে। যে ইস্তেহারের মধ্যে দিয়ে তারা ক্ষমতায় এলে এই সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে বলে কথা দেন বিভিন্ন নেতারা। কিন্তু ভোটাররা কি আদৌ ইশতেহার দেখে কোনো রাজনৈতিক দলকে ভোট দেন? নাকি নিজেদের পছন্দের রাজনৈতিক দলগুলোকেই ভোট দিয়ে আসেন জনতা জনার্দন?

বর্তমানে এই প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূল, বিজেপি থেকে শুরু করে বাম-কংগ্রেস, প্রত্যেকেই ইশতেহার প্রকাশের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এই ইস্তেহার প্রকাশকে কেন্দ্র করে যেমন রয়েছে সকলের, ঠিক তেমনই গত লোকসভা নির্বাচনে কোন দলের পক্ষ থেকে কি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এবং তা কতটা বাস্তব হয়েছে, এখন সেটাই চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে একাংশের মধ্যে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, জম্মু কাশ্মীর থেকে 370 ধারা তুলে দেওয়া, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়া, সেনাবাহিনীর উন্নয়ন, সিএএ আইন পাস করা, কৃষক উন্নয়ন সহ বেশ কিছু বিষয়। এক্ষেত্রে জম্মু কাশ্মীর থেকে 370 ধারা বিলোপ এবং সিএএ আইন পাশ করার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইশতেহার প্রকাশ করা হলেও, সেখানে শুধুমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে মন্তব্য ছাড়া আর তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার কি কি কাজ করেছে, সেই কথা তুলে ধরা হয়েছিল। পাশাপাশি 2014 সাল থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশকে সম্পূর্ণরূপে শাসন করেছে বলেও তৃণমূল তাদের ইশতেহারে অভিযোগ করেছিল। সে দিক থেকে লোকসভা নির্বাচনে মানুষ কেন তৃণমূলকে ভোট দেবে অর্থাৎ ইশতেহারে যে কথাগুলো তুলে ধরা দরকার তা তেমনভাবে প্রকাশ পায়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন একাংশ। তবে শাসক দলের পক্ষ থেকে পাল্টা বলা হয়েছিল, ভারতবর্ষের গণতন্ত্র কতটা সুরক্ষিত থাকবে বিজেপির হাতে, সেই কথাই তুলে ধরা হয়েছিল ইশতেহারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সবথেকে বড় কথা, মানুষ শান্তিতে থাকবে কিনা! আর তাই ভারতবর্ষে যে গণতন্ত্র বিপন্ন সেই কথা তাদের ইশতেহারে তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেছিল শাসক দল। তবে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ধরণীর ইশতেহার যে অতটা প্রাসঙ্গিকতা পায়নি, তা ফলাফল প্রকাশের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে যায়। যেখানে বিজেপি’র প্রতি সমর্থন জানিয়ে সারাদেশে যেমন গেরুয়া শিবিরের পক্ষে সমর্থন দিয়েছিলেন সাধারন মানুষ, ঠিক তেমনই বাংলাতে দুটি আসন থেকে বিজেপি পৌঁছে গিয়েছিল 18 টি আসনে। আর সেই বিজেপি এখন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করতে রীতিমত তৎপর হয়ে উঠেছে। তবে ইশতেহার ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে কতটা নির্ণায়ক তা নিয়ে যথেষ্ট চর্চা থাকলেও, প্রতিটি রাজনৈতিক দল মানুষের কাছে এই ইশতেহারের মধ্যে দিয়েছে চমক দিতে তৎপর, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী লড়াই করার ক্ষেত্রে এই ইশতেহার প্রাথমিক পর্ব বলা চলে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি, দুই প্রতিপক্ষ এই ইশতেহার নিয়ে তাদের কি চমক দেয়, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয় সকলের কাছে। তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কি কি করা হবে, তা অবশ্যই এই ইস্তেহারের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে নানা কথা বলার পাশাপাশি গত 10 বছর ধরে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে কি কি উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, সেকথাও ঘাসফুল শিবিরের ইশতেহারে তুলে ধরা হতে পারে।

অন্যদিকে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে সন্ত্রাস, গণতন্ত্রের অবনতি সহ একাধিক বিষয় তুলে ধরে সরব হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। পাশাপাশি কেন্দ্রের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথাও বিজেপির ইশতেহারে তুলে ধরা হতে পারে। একইভাবে বাম কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকেও তাদের ইশতেহারে কি বলা হয়, তার জন্য নজর রয়েছে প্রত্যেকের। সব মিলিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জোরদার লড়াইয়ের আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে কি চমক থাকে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!