এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অমিত শাহের সভার জন্যই কি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি বাতিল? কি জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়?

অমিত শাহের সভার জন্যই কি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি বাতিল? কি জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়?

আজ একদিকে কলকাতার মেয়ো রোডে ভাষণে মঞ্চ কাঁপাবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, অন্যদিকে গোটা রাজ্যব্যাপী অসম ইস্যুকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় ধিক্কার দিবস পালন করবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আজই কলকাতায় ধিক্কার দিবস পালন করবেন না তাঁরা। আগামীকাল অর্থাৎ ১২ ই আগষ্ট দিনটিতে কলকাতার পথে কালো পতাকা নিয়ে নামার সিদ্ধান্ত তৃণমূল কংগ্রেসের।

দলের সাংসদ, বিধায়করা সম্মিলিত ভাবে অসম ইস্যুর জন্য মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হবেন সেখানে, আর এখানেই দানা বেঁধেছে জল্পনা। রাজনৈতিকমহলের প্রশ্ন, অমিত শাহ কাল সভা করবেন বলেই কলকাতায় ধিক্কার দিবস পালনের জন্য দিন পেছালো ঘাসফুল শিবির? তবে সমস্ত জল্পনার গোড়ায় জল ঢেলে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সৌজন্যবোধের খাতিরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সৌজন্যতাটাকেই আপনারা অন্য নজরে দেখছেন!

প্রসঙ্গত, অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী থেকে ৪০ লাখ নাম বাদ যাওয়ার পরই দফায় দফায় প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অসম ইস্যুর শেষ দেখে ছাড়বেন বলেই দাবী তাঁদের। আন্দোলন থেকে কিছুতেই পিছু হটবেন না তাঁরা একটা বিহিত না হওয়া পর্যন্ত, এমনটাই সিদ্ধান্ত রাজ্যের শাসকদলের।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর এই প্রসঙ্গে পার্থবাবু বললেন, নাগরিকপঞ্জী তৈরি করার নামে বাঙালিদের প্রতি অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। সু্প্রিম কোর্টকে হাতিয়ার করে কেন্দ্র এবং অসম সরকার ভারতীয়দেরই বাদ দিয়ে দিয়েছে। এই অমানবিক আচরণে সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী বাঙালিরা। যা নিয়ে প্রথম থেকেই আন্দোলন করে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃত্বরাও প্রতিবাদে গর্জে উঠে এই অন্যায় সিদ্ধান্ত বদলের কথা বলেছেন।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই অমিত শাহের সভাস্থল চত্বরেই তৃণমূল কংগ্রেসের হোর্ডিং, পোস্টারের রমরমা নিয়ে বেশ বির্তক শুরু হয়েছে। সর্ব ভারতীয় বিজেপি সভাপতির মেয়ো রোডে সভা করার খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের শাসকদলকে দেখা গেছে তড়িঘড়ি করে তাঁদের পোস্টার সভাস্থলে লাগাতে, বলে অভিযোগ উঠেছে – যা নিয়ে বেশ রাজনৈতিক চাপান-উত্তর শুরু হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে।

তবে তৃণমূলের মহাসচিবকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বেশ কটাক্ষের ভঙ্গিতেই বিজেপিকে বিদ্ধ করে জানান, “একটা দল রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে‌। সভা হবে বলে পোস্টার কী তুলে নিতে হবে! বিজেপির তো এরাজ্যে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। বাইরে থেকে ভাড়া করা প্লেয়ার নিয়ে আসছে”!

অন্যদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (গতকালই তিনি ঘোষণা করেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি কোনো জোটের হয়ে নয় বরং এককভাবে লড়াই করবেন) প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে ইতিবাচক জবাবে জানান, বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা অনেক দিন আগে থেকেই শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এই অবিজেপি সংগঠনকে দুর্বল করা গেরুয়াশিবিরের পক্ষে সম্ভব নয়। লোকসভা নির্বাচনেই সেই প্রমাণ মিলবে বলেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!